তীমথিয়ের প্রতি দ্বিতীয় চিঠি ৩:১-১৭

  • শেষকালে পরিস্থিতি বিপদজনক হবে (১-৭)

  • পৌলের উদাহরণ ভালোভাবে জানা (৮-১৩)

  • ‘তুমি যে-সমস্ত বিষয় শিখেছ, সেগুলো পালন করে চলো’ (১৪-১৭)

    • শাস্ত্রে লেখা সমস্ত কথা ঈশ্বরের দ্বারা অনুপ্রাণিত (১৬)

 কিন্তু, এটা জেনে রাখ, শেষকালে পরিস্থিতি কঠিন ও বিপদজনক হবে। ২  কারণ লোকেরা নিজেদের ভালোবাসবে, টাকাপয়সাকে ভালোবাসবে, অহংকারী হবে, উদ্ধত হবে, নিন্দা করবে, বাবা-মায়ের অবাধ্য হবে, অকৃতজ্ঞ হবে, আনুগত্য দেখাবে না, ৩  স্নেহ দেখাবে না, আপোশ করতে চাইবে না, অপবাদ দেবে, সংযমের অভাব দেখাবে, হিংস্র হবে, ভালো বিষয়কে ঘৃণা করবে, ৪  বিশ্বাসঘাতকতা করবে, নিজের ইচ্ছামতো কাজ করবে, গর্বে অন্ধ হয়ে যাবে, ঈশ্বরকে ভালোবাসবে না বরং আমোদপ্রমোদকে ভালোবাসবে। ৫  তারা ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি দেখানোর ভান করবে, কিন্তু সেই ভক্তি অনুযায়ী জীবনযাপন করবে না; তুমি এইরকম লোকদের কাছ থেকে দূরে থেকো। ৬  তাদের মধ্যে এমন লোকদের দেখা যায়, যারা চালাকি করে ঘরে ঘরে ঢুকে সেই সমস্ত দুর্বলমনা মহিলাদের ভ্রান্ত করে, যারা নিজেদের বিভিন্ন আকাঙ্ক্ষার দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে পাপের দ্বারা ভারগ্রস্ত। ৭  তারা সবসময় শিখতে থাকে, কিন্তু কখনোই সত্যের সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারে না। ৮  যান্নি ও যাম্ব্রি যেমন মোশির বিরোধিতা করেছিল, তেমনই এই লোকেরাও সত্যের বিরোধিতা করে চলছে। তাদের মন পুরোপুরি কলুষিত আর তারা বিশ্বাস অনুযায়ী চলে না বলে তাদের উপর ঈশ্বরের অনুমোদন নেই। ৯  তবে, তারা তাদের কাজে আর এগিয়ে যেতে পারবে না, কারণ তাদের মূর্খতা সকলের কাছে খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠবে, যেমনটা সেই দু-জনের ক্ষেত্রে হয়েছিল। ১০  কিন্তু, তুমি আমার শিক্ষা, আমার জীবনধারা, আমার উদ্দেশ্য, আমার বিশ্বাস, আমার ধৈর্য, আমার প্রেম, আমার সহিষ্ণুতা ভালোভাবেই জান। ১১  আর তুমি আমার সেই সমস্ত তাড়না ও কষ্ট সম্বন্ধেও জান, যেগুলো আমি আন্তিয়খিয়া, ইকনিয় ও লুস্ত্রায় ভোগ করেছি। কিন্তু, এই সমস্ত তাড়নার মধ্য থেকে প্রভু আমাকে উদ্ধার করেছেন। ১২  যত লোক খ্রিস্ট যিশুর শিষ্য হিসেবে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি সহকারে জীবনযাপন করতে চায়, তাদের সকলের প্রতিও তাড়না ঘটবে। ১৩  কিন্তু, দুষ্ট লোকেরা ও প্রতারকেরা মন্দ থেকে মন্দতর হবে। তারা অন্যদের ভ্রান্ত করবে এবং নিজেরাও ভ্রান্ত হবে। ১৪  কিন্তু, তুমি যে-সমস্ত বিষয় শিখেছ এবং যেগুলোর সত্যতা সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়েছ, সেগুলো পালন করে চলো, কারণ তুমি তো জান, তুমি কাদের কাছ থেকে শিখেছ। ১৫  আর তোমাকে তো শিশুকাল থেকেই পবিত্র শাস্ত্র সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এই পবিত্র শাস্ত্রই তোমাকে খ্রিস্ট যিশুর উপর বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রাণ লাভ করার জন্য বিজ্ঞ করে তুলতে সমর্থ। ১৬  শাস্ত্রে লেখা সমস্ত কথা ঈশ্বরের দ্বারা অনুপ্রাণিত* এবং তা শিক্ষার, তিরস্কারের, সংশোধনের এবং যা সঠিক, সেই অনুযায়ী প্রশিক্ষণের* জন্য উপকারী, ১৭  যাতে ঈশ্বরের লোক পুরোপুরি দক্ষ হয়ে উঠতে পারে এবং সমস্ত ভালো কাজের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকতে পারে।

পাদটীকাগুলো

অর্থাৎ ঈশ্বরের পবিত্র শক্তির অনুপ্রেরণায় লেখা হয়েছে।
আক্ষ., “এবং ধার্মিকতা অনুযায়ী শাসন করার।”