করিন্থীয়দের প্রতি দ্বিতীয় চিঠি ৫:১-২১

  • স্বর্গীয় বাড়ি কাপড়ের মতো পরা (১-১০)

  • পুনরায় সম্মিলিত হতে সাহায্য করার কাজ (১১-২১)

    • নতুন সৃষ্টি (১৭)

    • খ্রিস্টের জন্য রাজদূত (২০)

৫  কারণ আমরা জানি, যদি আমাদের এই পার্থিব বাড়ি, এই তাঁবু নষ্ট* হয়ে যায়, তা হলে আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে স্বর্গে এমন এক বাড়ি লাভ করব, যা চিরস্থায়ী এবং যা হাতে তৈরি নয়। ২  কারণ বাস্তবিকপক্ষে এই পার্থিব বাড়িতে আমরা আর্তনাদ করছি, স্বর্গে আমাদের জন্য যে-বাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে, তা কাপড়ের মতো পরার জন্য আন্তরিকভাবে আকাঙ্ক্ষা করছি, ৩  যেন তা পরার পর আমরা উলঙ্গ না থাকি। ৪  প্রকৃতপক্ষে, এই তাঁবুতে থেকে ভারগ্রস্ত হয়ে আমরা আর্তনাদ করছি। আমরা যে এটা কাপড়ের মতো খুলে ফেলতে চাই, তা নয়, বরং আমরা স্বর্গীয় বাড়ি লাভ করতে চাই, যাতে মরণশীল দেহের পরিবর্তে জীবন লাভ করা যায়। ৫  ঈশ্বরই আমাদের এই বাড়ির জন্য প্রস্তুত করেছেন আর তিনি আমাদের বায়না* হিসেবে পবিত্র শক্তি দিয়েছেন। ৬  তাই, আমরা এই বিষয়ে পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত এবং আমরা জানি যে, যতদিন আমরা এই দেহের বাড়িতে বাস করব, ততদিন আমরা প্রভুর কাছ থেকে দূরে থাকব, ৭  কারণ আমরা যা দেখা যায়, সেটার দ্বারা নয়, বরং বিশ্বাস দ্বারা চলি। ৮  কিন্তু, আমাদের কোনো সন্দেহ নেই আর আমরা এই দেহ থেকে দূরে থাকতে চাই এবং প্রভুর সঙ্গে বাস করতে চাই। ৯  তাই, আমরা তাঁর সঙ্গে বাড়িতে থাকি, কিংবা তাঁর কাছ থেকে দূরে থাকি, যেটাই হোক না কেন, আমাদের লক্ষ্য হল তাঁকে খুশি করা। ১০  কারণ আমাদের সকলকে খ্রিস্টের বিচারাসনের সামনে দাঁড়াতে হবে, যাতে প্রত্যেকে এই দেহে থাকার সময় যা যা করেছে, হোক তা ভালো কিংবা মন্দ, সেই অনুযায়ী বিচারিত হয়। ১১  অতএব, কেন প্রভুর প্রতি ভয় থাকা উচিত, তা জানায় আমরা লোকদের বোঝাচ্ছি, যেন তারা আমাদের কথা শোনে, কিন্তু ঈশ্বর ভালোভাবে জানেন, আমরা কেমন ব্যক্তি। আর আমি প্রত্যাশা করি, তোমাদের বিবেকও তোমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে, আমরা কেমন ব্যক্তি। ১২  আমরা আবারও নিজেদের জন্য তোমাদের কাছে সুপারিশ করছি না, বরং আমাদের নিয়ে গর্ব করার জন্য তোমাদের উৎসাহিত করছি, যাতে তোমরা সেই ব্যক্তিদের উত্তর দিতে পার, যারা হৃদয়ে যা আছে, সেটা নিয়ে নয়, বরং বাইরের চেহারা নিয়ে গর্ব করে। ১৩  আমরা যদি পাগল হয়ে গিয়ে থাকি, তা হলে তা ঈশ্বরের জন্যই হয়েছি; আর আমরা যদি সুস্থ মস্তিষ্কের হয়ে থাকি, তা হলে তা তোমাদের জন্যই হয়েছি। ১৪  খ্রিস্টের প্রেম আমাদের পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, কারণ আমরা বুঝেছি যে, যেহেতু সকলে মারা গিয়েছে, তাই এক জন মানুষ সকলের জন্য মারা গিয়েছেন। ১৫  আর তিনি সকলের জন্য মারা গিয়েছেন, যেন যারা বেঁচে আছে, তারা আর নিজেদের উদ্দেশে নয়, বরং তাঁর উদ্দেশেই বেঁচে থাকে, যিনি তাদের জন্য মারা গিয়েছেন এবং যাঁকে পুনরুত্থিত* করা হয়েছে। ১৬  তাই এখন থেকে, যা দেখা যায়, সেই অনুসারে আমরা কোনো মানুষকে বিচার করি না। আর আগে যদিও আমরা খ্রিস্টকে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতাম, কিন্তু এখন আর সেভাবে দেখি না। ১৭  তাই, কেউ যদি খ্রিস্টের সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়, তা হলে সে নতুন সৃষ্টি; পুরোনো বিষয়গুলো চলে গিয়েছে; দেখো! নতুন বিষয়গুলো অস্তিত্বে এসেছে। ১৮  কিন্তু, সমস্ত কিছু ঈশ্বরের কাছ থেকে, যিনি খ্রিস্টের মাধ্যমে আমাদের তাঁর সঙ্গে পুনরায় সম্মিলিত করেছেন। আর তিনিই আমাদের তাঁর সঙ্গে অন্যদের পুনরায় সম্মিলিত হতে সাহায্য করার কাজ দিয়েছেন। ১৯  এর অর্থ হল, ঈশ্বর তাঁর সঙ্গে লোকদের পুনরায় সম্মিলিত করার জন্য খ্রিস্টকে ব্যবহার করছেন এবং তিনি মানুষদের আর পাপী বলে গণ্য করেন না। আর লোকেরা যে ঈশ্বরের সঙ্গে পুনরায় সম্মিলিত হতে পারে, তা জানানোর কাজ ঈশ্বর আমাদের দিয়েছেন। ২০  তাই, আমরা খ্রিস্টের পরিবর্তে রাজদূত হিসেবে কাজ করছি। ঈশ্বরই যেন আমাদের মাধ্যমে অনুরোধ করছেন। খ্রিস্টের পরিবর্তে আমরা বিনতি করছি: “ঈশ্বরের সঙ্গে পুনরায় সম্মিলিত হও।” ২১  খ্রিস্ট কখনো পাপ করেননি আর ঈশ্বর তাঁকে আমাদের পাপের জন্য উৎসর্গ করেছেন, যেন তাঁর মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক হতে পারি।

পাদটীকাগুলো

বা “শেষ।”
বা “অগ্রিম মূল্য; নিশ্চয়তা।”
শব্দকোষ দেখুন।