গল্প ৩১
মোশি ও হারোণ ফরৌণের সঙ্গে দেখা করেন
মোশি যখন মিশরে ফিরে গিয়েছিলেন, তখন তিনি তার ভাই হারোণকে সমস্ত অলৌকিক কাজ সম্বন্ধে খুলে বলেছিলেন। আর যখন মোশি ও হারোণ ইস্রায়েলীয়দেরকে সেই অলৌকিক কাজগুলো দেখিয়েছিল, তখন লোকেরা বিশ্বাস করেছিল যে, যিহোবা তাদের সঙ্গে আছেন।
এরপর, মোশি ও হারোণ ফরৌণের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। তারা তাকে বলে: ‘ইস্রায়েলের ঈশ্বর যিহোবা এই কথা বলেন, “আমার লোকেদের তিন দিনের জন্য যেতে দাও, যাতে তারা প্রান্তরে গিয়ে আমার উপাসনা করতে পারে।”’ কিন্তু, ফরৌণ উত্তর দেন: ‘আমি যিহোবাকে বিশ্বাস করি না। আর আমি ইস্রায়েলীয়দেরও যেতে দেব না।’
ফরৌণ রাগ করেছিলেন কারণ লোকেরা যিহোবাকে উপাসনা করার জন্য তাদের কাজ থেকে ছুটি চেয়েছিল। তাই, তিনি তাদেরকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করেছিলেন। ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে এতটা খারাপ আচরণ করা হয়েছিল বলে ইস্রায়েলীয়রা মোশিকে দোষারোপ করে আর মোশিও তাদের জন্য দুঃখিত হন। কিন্তু, যিহোবা তাকে চিন্তা করতে বারণ করেন। ‘আমি ফরৌণকে বাধ্য করব, যেন সে আমার লোকেদের ছেড়ে দেয়,’ যিহোবা বলেন।
মোশি ও হারোণ আবারও ফরৌণের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। এ-বার তারা একটা অলৌকিক কাজ করে। হারোণ তার লাঠিটা ফেলে দেন আর এটা একটা বিরাট সাপ হয়ে যায়। তখন ফরৌণের জ্ঞানীগুণী লোকেরাও তাদের লাঠি ফেলে দেয় আর সেগুলোও সাপ হয়ে যায়। কিন্তু দেখো, দেখো! হারোণের সাপ জ্ঞানীগুণী লোকেদের সাপগুলোকে খেয়ে ফেলছে। তারপরও, ফরৌণ ইস্রায়েলীয়দের যেতে দেন না।
তাই, ফরৌণকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য যিহোবার সময় এসে যায়। তুমি কি জান, তিনি কীভাবে তা করেছিলেন? মিশরের ওপর দশটা আঘাত বা মহাবিপদ নিয়ে আসার মাধ্যমে।
এই আঘাতগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটা আঘাতের পর পরই ফরৌণ মোশিকে ডেকে পাঠিয়ে বলেছিলেন: ‘এই আঘাত বন্ধ করো, তাহলে আমি ইস্রায়েলকে যেতে দেব।’ কিন্তু, যখন সেই আঘাত বন্ধ হয়ে যেত, তখন ফরৌণ তার মন পরিবর্তন করে ফেলতেন। তিনি লোকেদের যেতে দিতেন না। কিন্তু, অবশেষে দশম আঘাতের পর ফরৌণ ইস্রায়েলীয়দের যেতে দেন।
তুমি কি সেই দশটা আঘাতের প্রত্যেকটা সম্বন্ধে জান? এই পৃষ্ঠাটা উলটাও আর চলো আমরা সেগুলো সম্বন্ধে শিখি।
যাত্রাপুস্তক ৪:২৭-৩১; ৫:১-২৩; ৬:১-১৩, ২৬-৩০; ৭:১-১৩.