পাঠ ৬৮
ইলীশাবেতের একটি সন্তান হয়
জেরুসালেমের প্রাচীর পুনরায় নির্মাণ করার পর ৪০০ বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। সখরিয় নামে একজন যাজক এবং তার স্ত্রী ইলীশাবেৎ জেরুসালেমের কাছাকাছি থাকতেন। তাদের বিয়ের অনেক বছর পরও তাদের কোনো সন্তান ছিল না। একদিন সখরিয় মন্দিরের পবিত্র স্থানে ধূপ জ্বালাচ্ছিলেন আর এমন সময় স্বর্গদূত গাব্রিয়েল তাকে দেখা দেন। সখরিয় খুব ভয় পেয়ে যান, কিন্তু গাব্রিয়েল তাকে বলেন: ‘ভয় পেয়ো না। আমি যিহোবার কাছ থেকে তোমার জন্য এক সুখবর নিয়ে এসেছি। তোমার স্ত্রী ইলীশাবেৎ এক ছেলের জন্ম দেবেন আর তার নাম হবে যোহন। যিহোবা যোহনকে এক বিশেষ কাজের জন্য বেছে নিয়েছেন।’ তখন সখরিয় তাকে জিজ্ঞেস করেন: ‘আমি কীভাবে আপনার এই কথা বিশ্বাস করব? কারণ আমার এবং আমার স্ত্রীর তো অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে।’ গাব্রিয়েল বলেন: ‘ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন, যাতে আমি তোমাকে এই সুখবর জানাতে পারি। কিন্তু, তুমি আমার কথায় বিশ্বাস করলে না, তাই তুমি বোবা হয়ে থাকবে এবং ততদিন পর্যন্ত কথা বলতে পারবে না, যতদিন না সেই ছেলের জন্ম হয়।’
সখরিয় দীর্ঘসময় ধরে মন্দিরের পবিত্র স্থানে থাকেন। অবশেষে তিনি যখন বেরিয়ে আসেন, তখন যে-লোকেরা তার জন্য বাইরে অপেক্ষা করছিল, তারা জানতে চায়, কী হয়েছে। কিন্তু, সখরিয় কোনো কথা বলতে পারছিলেন না। তিনি শুধু হাত নাড়িয়ে ইশারায় তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন লোকেরা বুঝতে পারে, সখরিয় নিশ্চয়ই ঈশ্বরের কাছ থেকে কোনো বার্তা পেয়েছেন।
পরে, ইলীশাবেৎ গর্ভবতী হন এবং একটি ছেলের জন্ম দেন, ঠিক যেমনটা স্বর্গদূত বলেছিলেন। তার প্রতিবেশীরা ও আত্মীয়স্বজন বাচ্চাটিকে দেখার জন্য আসে। তারা সবাই খুব খুশি হয়। ইলীশাবেৎ বলেন: ‘ওর নাম হবে যোহন।’ তারা বলে: ‘আপনার আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কারোরই তো এই নাম নেই। তার বাবার নাম অনুসারে তার নাম রাখো সখরিয়।’ কিন্তু, সখরিয় তাদের লিখে জানান: ‘ওর নাম যোহন।’ আর সঙ্গেসঙ্গে সখরিয় আবারও কথা বলতে শুরু করেন! যিহূদার সমস্ত জায়গায় লোকেরা বাচ্চাটির বিষয়ে জানতে পারে আর তারা মনে মনে ভাবতে থাকে: ‘বড়ো হয়ে এই ছেলে তাহলে কেমন ব্যক্তি হবে?’
তখন সখরিয় পবিত্র শক্তিতে পূর্ণ হয়ে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেন: ‘ধন্য ইজরায়েলের ঈশ্বর যিহোবা। তিনি অব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন
যে, তিনি আমাদের উদ্ধার করার জন্য একজন ত্রাণকর্তাকে অর্থাৎ মশীহকে পাঠাবেন। যোহন একজন ভাববাদী হবেন আর তিনি মশীহের জন্য পথ প্রস্তুত করবেন।’ইলীশাবেতের আত্মীয় মরিয়মের প্রতিও বিশেষ কিছু ঘটে। এসো, আমরা পরের পাঠে তা লক্ষ করি।
“মানুষের পক্ষে তা অসম্ভব, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে সব কিছুই সম্ভব।”—মথি ১৯:২৬