প্রচ্ছদ বিষয় | দুশ্চিন্তার সঙ্গে মোকাবিলা করা
সর্বত্রই দুশ্চিন্তা!
“আমি খাবার কিনতে গিয়েছিলাম কিন্তু বিস্কুট ছাড়া আর কিছুই পাইনি, যেটার দাম আবার ১০,০০০ গুণ বেশি! পরের দিন দোকানগুলোতে আর কোনো খাবারই ছিল না।”—পল, জিম্বাবোয়ে।
“একদিন আমার স্বামী আমাকে বলল, সে আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কীভাবে আমি এই বিশ্বাসঘাতকতা কাটিয়ে উঠব? আমার সন্তানদের কী হবে?”—জ্যানেট, যুক্তরাষ্ট্র।
“সাইরেন বেজে ওঠার সঙ্গেসঙ্গে আমি লুকানোর জন্য দৌড়াতে থাকি আর রকেট বিস্ফোরণ হতেই মাটিতে শুয়ে পড়ি। কয়েক ঘণ্টা ধরে আমার হাত কাঁপতে থাকে।”—আলোনা, ইজরায়েল।
আমরা এমন এক ‘বিষম সময়ে’ বাস করছি, যখন মানুষ দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। (২ তীমথিয় ৩:১) অনেকেই আর্থিক সমস্যা, পরিবারের মধ্যে ভাঙন, যুদ্ধ, মারাত্মক রোগব্যাধির প্রকোপ এবং প্রাকৃতিক কিংবা মানবসৃষ্ট দুর্যোগের দ্বারা জর্জরিত। এ ছাড়া রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত দুশ্চিন্তা, যেমন: ‘আমার শরীরে যে-মাংসপিণ্ডটা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেটা থেকে ক্যান্সার হবে না তো?’ ‘আমার নাতি-নাতনিরা যখন বড়ো হয়ে উঠবে, তখন জগতের অবস্থা কেমন হবে?’
তবে, কিছু কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করা ভুল নয়। স্বাভাবিকভাবেই আমরা কোনো পরীক্ষা দেওয়ার, অনুষ্ঠানে কিছু প্রদর্শন করার অথবা চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে কিছুটা চাপ অনুভব করি। আর বিপদে পড়ার ভয় আমাদের ক্ষতি এড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু, কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা কিংবা অনবরত চিন্তা করা ক্ষতিকারক। সম্প্রতি ৬৮,০০০-রেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর করা বেশ কয়েকটা সমীক্ষা দেখায় যে, এমনকী সামান্য দুশ্চিন্তাও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই, ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই যিশু জিজ্ঞেস করেছিলেন: “তোমাদের মধ্যে কে ভাবিত হইয়া আপন বয়স এক হস্তমাত্র বৃদ্ধি করিতে পারে?” দুশ্চিন্তা করা কখনোই একজনের আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে না। সেইজন্য যিশু পরামর্শ দিয়েছিলেন: “ভাবিত হইও না।” (মথি ৬:২৫, ২৭) কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব?
ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা কাজে লাগানো, ঈশ্বরের উপর প্রকৃত বিশ্বাস বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য আশা গড়ে তোলার মাধ্যমে, তা করা যেতে পারে। এখন না হলেও আমরা হয়তো ভবিষ্যতে শোচনীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারি। তাই, আসুন দেখি, এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া কীভাবে পল, জ্যানেট ও আলোনাকে দুশ্চিন্তার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করেছিল। (w15-E 07/01)