সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

 ঈশ্বরের নিকটবর্তী হোন

“দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি”

“দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি”

আপনি কি নিজের ও আপনার পরিবারের জন্য সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন? আপনি কি এমন এক জগতে বেঁচে থাকতে চান, যেখানে ব্যথা, দুঃখকষ্ট ও মৃত্যু থাকবে না? এইরকম এক জগতের জন্য আশা করা কোনো অবাস্তব কল্পনা নয়। বরং, এক ধার্মিক নতুন জগতের আশা খুব শীঘ্র বাস্তবে পরিণত হবে। কারণ এটা যিহোবা ঈশ্বরের উদ্দেশ্য। তাঁর সেই উদ্দেশ্যের পরিপূর্ণতা সম্বন্ধে প্রকাশিত বাক্য ২১:৩-৫ পদে যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, তা লক্ষ করুন।—পড়ুন।

“[ঈশ্বর] তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৪) কোন ধরনের নেত্রজল বা চোখের জল মুছে দেওয়া হবে? আনন্দাশ্রু অথবা আমাদের চোখকে সুরক্ষা করার জন্য যে-জলীয় অংশ থাকে, তা নয়। ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা সেই অশ্রুকে নির্দেশ করে, যা দুঃখকষ্ট ও বেদনার কারণে আসে। ঈশ্বর শুধু বাইরে থেকে মানুষের অশ্রু মুছে দেবেন না; বরং তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত অশ্রুর মূল কারণ অর্থাৎ দুঃখকষ্ট ও বেদনা সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে, তা পুরোপুরি মুছে দেবেন।

“মৃত্যু আর হইবে না।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৪) মৃত্যু ছাড়া আর কোন শত্রুর কারণেই-বা মানুষকে এত বেশি চোখের জল ফেলতে হয়েছে? যিহোবা বাধ্য মানুষদের মৃত্যুর কবল থেকে মুক্ত করবেন। কীভাবে? মৃত্যুর আসল কারণ দূর করে দেওয়ার মাধ্যমে আর তা হল: আদমের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পাপ। (রোমীয় ৫:১২) যিহোবা, যিশুর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানের ভিত্তিতে বাধ্য মানুষদের সিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে যাবেন। * এরপর, শেষ শত্রু অর্থাৎ মৃত্যুকে “ধবংস করা হবে।” (১ করিন্থীয় ১৫:২৬, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন) তখন বিশ্বস্ত মানবজাতি নিখুঁত স্বাস্থ্য নিয়ে চিরকাল বেঁচে থাকতে সক্ষম হবে আর এটাই ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ছিল।

“ব্যথাও আর হইবে না।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৪) কোন ধরনের ব্যথা আর থাকবে না? পাপ এবং অসিদ্ধতার কারণে মানুষকে যে-মানসিক, আবেগগত ও শারীরিক ব্যথা ভোগ করতে হয়, যা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে, সেগুলো আর থাকবে না।

অশ্রু, মৃত্যু ও দুঃখবিহীন এক জীবন খুব শীঘ্র বাস্তবে পরিণত হবে। কিন্তু আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘কোথায় তা হবে? ঈশ্বরের এই প্রতিজ্ঞা কি স্বর্গের জীবন সম্বন্ধে?’ না। কেন তা নয়, সেটার কিছু কারণ বিবেচনা করে দেখুন। প্রথমত, এই প্রতিজ্ঞা এভাবে শুরু হয়েছে, “মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস” আর মানুষেরা পৃথিবীতে বাস করে। (প্রকাশিত বাক্য ২১:৩) দ্বিতীয়ত, এই প্রতিজ্ঞা এমন এক জগৎ সম্বন্ধে বর্ণনা করে, যেখানে “মৃত্যু আর হইবে না।” এটা এমন জগৎ, যেখানে একসময়ে মৃত্যুর অস্তিত্ব ছিল কিন্তু পরে সেটার অস্তিত্ব থাকবে না। স্বর্গে কখনোই মৃত্যুর অস্তিত্ব ছিল না। বরং, দীর্ঘসময় ধরে এই পৃথিবীতে মৃত্যু ঘটছে। তাই, স্পষ্টভাবেই বলা যায় যে, আরও ভালো এক জীবনের জন্য ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা এই পৃথিবীতেই পরিপূর্ণ হবে।

ঈশ্বর দুঃখকষ্ট ও বেদনার কারণে বর্ষিত অশ্রুর বন্যা দূর করে দেবেন

যিহোবা চান যেন আমরা এক ধার্মিক নতুন জগৎ সম্বন্ধে তাঁর প্রতিজ্ঞার প্রতি বিশ্বাস দেখাই। যে-সমস্ত আশীর্বাদ আসতে যাচ্ছে, সেগুলো বর্ণনা করার ঠিক পরেই তিনি এই কথা বলে তাঁর প্রতিজ্ঞা পূরণের নিশ্চয়তা দেন: “দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি।” তিনি আরও বলেন, “এ সকল কথা বিশ্বসনীয় ও সত্য।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৫) ঈশ্বরের এই প্রতিজ্ঞাকে যে-সমস্ত আনন্দিত উপাসকরা চমৎকারভাবে বাস্তবে পরিণত হতে দেখবে, তাদের মধ্যে আপনি ও আপনার প্রিয়জনেরাও থাকতে পারবেন। কীভাবে তা সম্ভব, সেই বিষয়ে আপনি কি আরও জানতে চান না? ▪ (w13-E 12/01)

প্রস্তাবিত বাইবেল পাঠ

১ পিতর ১প্রকাশিত বাক্য ২২

^ অনু. 5 খ্রিস্টের মুক্তির মূল্যরূপ বলিদান সম্বন্ধে আরও জানার জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ৫ অধ্যায় দেখুন।