সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

মণ্ডলীর সভাগুলোর সময় খ্রিস্টান বাবা-মায়ের কি একজন সমাজচ্যুত সন্তানের সঙ্গে বসা উপযুক্ত?

▪ কিংডম হলে একজন সমাজচ্যুত ব্যক্তি কোথায় বসবেন, তা নিয়ে অযথা উদ্‌বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই পত্রিকায় খ্রিস্টান বাবা-মাদেরকে যথেষ্ট উৎসাহিত করা হয়েছে, যেন তারা তাদের সমাজচ্যুত সন্তানকে আধ্যাত্মিকভাবে সাহায্য করে, যে-সন্তান উপযুক্ত কারণেই এখনও তাদের সঙ্গে একই বাড়িতে বাস করছে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ১৬ থেকে ১৮ পৃষ্ঠায় যেমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, বাবা-মায়েরা চাইলে একজন সমাজচ্যুত নাবালক বা নাবালিকাকে এমনকী বাইবেল অধ্যয়নও করাতে পারে, যে এখনও তাদের সঙ্গে বাস করছে। আশা করা হয় যে, সেই সন্তান এভাবে তার পথ সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় উৎসাহ লাভ করবে।

কিংডম হলে বসার ক্ষেত্রে, এটা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় কারণ একজন সমাজচ্যুত সন্তানও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে চুপ করে বসতে পারে। যেহেতু এমন কোনো নিয়ম নেই যে, একজন সমাজচ্যুত ব্যক্তিকে হলের একেবারে পিছনেই বসতে হবে, তাই একজন সমাজচ্যুত সন্তান তার বাবা-মা যেখানেই বসুক না কেন, সেখানে তাদের সঙ্গে বসলে কোনো আপত্তি জানানো উচিত নয়। বাবা-মা তাদের সন্তানকে আধ্যাত্মিকভাবে যত্ন নেয় বলে নিশ্চিতভাবেই তারা লক্ষ রাখতে চাইবে যেন সে সভাগুলো থেকে পূর্ণ উপকার লাভ করে। এক্ষেত্রে, অল্পবয়সি সন্তানকে অন্য জায়গায় একা একা বসতে না দিয়ে বরং তাকে তাদের সঙ্গে বসতে দেওয়া উপকারজনক হতে পারে।

কিন্তু, একজন সমাজচ্যুত সন্তান যদি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে বাস না করে, তাহলে? এই ক্ষেত্রে কি বিষয়টার ব্যতিক্রম হবে? অতীতে, আমাদের প্রকাশনায় সেই সঠিক মনোভাব সম্বন্ধে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যা একজন খ্রিস্টানের একই বাড়িতে বাস করে না এমন একজন আত্মীয়ের সঙ্গে মেলামেশার ব্যাপারে বজায় রাখা উচিত। * কিন্তু, একজন সমাজচ্যুত ব্যক্তির সভার সময় তার পরিবারের সদস্যদের পাশে চুপ করে বসার আর মেলামেশার উদ্দেশ্যে আত্মীয়স্বজনের অযথা তার সাহচর্য লাভ করার প্রচেষ্টার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যদি সমাজচ্যুত আত্মীয়ের প্রতি পরিবারের বিশ্বস্ত সদস্যদের সঠিক মনোভাব থাকে এবং তার সঙ্গে মেলামেশা করার ব্যাপারে যে-শাস্ত্রীয় পরামর্শ রয়েছে, তা তারা মেনে চলার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে উদ্‌বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।—১ করি. ৫:১১, ১৩; ২ যোহন ১১.

তাই, একজন সমাজচ্যুত ব্যক্তি কোনো আত্মীয়ের অথবা মণ্ডলীর কোনো সদস্যের পাশে বসবেন কি না, তা নিয়ে উদ্‌বিগ্ন হওয়া উচিত নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি সঠিকভাবে আচরণ করেন। একজন ব্যক্তি কোথায় বসবেন, সেই ব্যাপারে সীমা আরোপ করা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। পরিবারের বিশ্বস্ত সদস্যরা-সহ উপস্থিত সকলে যদি সমাজচ্যুত ব্যক্তি সম্বন্ধে বাইবেলের নীতিগুলো মেনে চলার চেষ্টা করে এবং বসার বিষয়টা যদি ভাই-বোনদের বিঘ্ন না জন্মায়, তাহলে যারা খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে যোগদান করে, তাদের বসার বিষয়টা নিয়ে উদ্‌বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। *

[পাদটীকাগুলো]

^ “ঈশ্বরের প্রেম” নামক বইয়ের ২৩৭-২৩৯ পৃষ্ঠা দেখুন।

^ ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল প্রহরীদুর্গ (ইংরেজি) পত্রিকার ২২৩ পৃষ্ঠায় যে-বিষয়টা প্রকাশ করা হয়েছিল, সেটার পরিবর্তিত ব্যাখ্যা।