নম্র হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা
নম্র হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা
অনেক লোকই মনে করে যে, আজকের জগতে নম্রতার কোনো স্থান নেই। যারা সফলতার সঙ্গে অন্যদের নির্দেশনা দেয় আর যাদেরকে সবচেয়ে বেশি সফল বলে মনে হয় তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করায় ব্যস্ত, গর্বিত ও এমন ব্যক্তি যারা তাদের নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী সবকিছু পেতে চায়। অধিকাংশ লোকেরা নম্র ও বিনয়ী লোকেদের নয় বরং ধনী এবং বিখ্যাত লোকেদের জীবনযাত্রাকে ঈর্ষা করে থাকে। যারা সফল তারা সাধারণত আত্মপ্রতিষ্ঠিত বলে গর্ব করতে পছন্দ করে। নম্র হওয়ার পরিবর্তে, তারা তাদের সফলতার জন্য নিজেদেরকে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়ে থাকে।
কানাডার একজন গবেষক তার দেশে “‘আমিই সব’ মনোভাবের উত্থান” সম্বন্ধে বলেছিলেন। অন্যেরা মনে করে যে, আমরা এমন এক সমাজে বাস করছি যেখানে দায়িত্বপূর্ণ জীবনযাপনের চেয়ে আনন্দফুর্তি করাকে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয় এবং তারা দেখেছে যে, বর্তমানে লোকেরা দিন দিন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। এইরকম এক পৃথিবীতে, নম্রতা হয়তো একটা কাঙ্ক্ষিত গুণ নয়।
অবশ্য, খুব কম লোকই এই ধারণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবে যে, নম্রতা দেখানো অন্যদের জন্য ভাল যেহেতু বিনয়ী লোকেদের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ পৃথিবীতে, কেউ কেউ এটা ভেবে ভয় পায় যে, ব্যক্তিগতভাবে তারা যদি নম্র আচরণ করে, তা হলে অন্যরা তাদেরকে ছোট করে দেখবে।
ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, আমাদের সময়ে লোকেরা “আত্মশ্লাঘী, অভিমানী [“অহঙ্কারী,” বাংলা জুবিলী বাইবেল]” হবে। (২ তীমথিয় ৩:১, ২) আপনি কি একমত নন যে, এই ভবিষ্যদ্বাণী পরিপূর্ণ হচ্ছে? নম্র হওয়ার কি কোনো মূল্য রয়েছে বলে আপনি মনে করেন? অথবা আপনি কি মনে করেন যে, একজন নম্র ব্যক্তিকে দুর্বল, সহজেই নিজের স্বার্থে ব্যবহার করা যায় এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে দেখা হবে?
বস্তুত, নম্রতাকে মূল্য দেওয়ার এবং তা গড়ে তোলার উত্তম কারণগুলো বাইবেল জানায়। এটি এই গুণের প্রতি এক ভারসাম্যপূর্ণ এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে এবং দেখায় যে, প্রকৃত নম্রতা দুর্বলতা নয় বরং মনোবলের এক প্রতীক। কেন তা বলা যায় সেটা পরবর্তী প্রবন্ধ ব্যাখ্যা করবে।
[৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
আমাদের সম্পাদিত বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের কেমন অনুভব করা উচিত?