ঈশ্বর কেন দুষ্টতা থাকতে দিয়েছেন?
ঈশ্বর কেন দুষ্টতা থাকতে দিয়েছেন?
মন্দতা ও দুর্দশাপূর্ণ অবস্থা দেখার জন্য আপনাকে বেশি দূর যেতে হবে না। বিভিন্ন যুদ্ধে সামরিক ও বেসামরিক উভয় প্রকার লোকই নিহত হয়। অপরাধ ও দৌরাত্ম্যের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। আপনি হয়তো সম্প্রতি কোনো ভেদাভেদ বা অবিচারের শিকার হয়েছেন। আপনি যা দেখেছেন এবং যে-অভিজ্ঞতা আপনার হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘ঈশ্বর কেন দুষ্টতা থাকতে দিয়েছেন?’
এই প্রশ্নটা নতুন কিছু নয়। প্রায় ৩,৬০০ বছর আগে, ইয়োব নামে ঈশ্বরের একজন অনুগত দাস জিজ্ঞেস করেছিলেন: “দুর্জ্জনেরা কেন জীবিত থাকে?” (ইয়োব ২১:৭) তার দেশের লোকেদের মন্দ কাজকর্মের দ্বারা জর্জরিত হয়ে সা.কা.পূ. সপ্তম শতাব্দীতে ভাববাদী যিরমিয় জিজ্ঞেস করেছিলেন: “দুষ্ট লোকদের পথ কেন কুশলযুক্ত হয়? যাহারা অতিশয় বিশ্বাসঘাতক, তাহারা কেন শান্তিতে থাকে?” (যিরমিয় ১২:১) ইয়োব এবং যিরমিয় উভয়েই জানতেন যে, ঈশ্বর হলেন ধার্মিক। তবুও, তারা ভেবেছিল যে, কেন এত দুষ্টতা রয়েছে। সম্ভবত এই বিষয়ে চিন্তা করে আপনিও হতভম্ব হয়ে থাকেন।
কিছু লোক দুষ্টতা ও দুঃখকষ্টের জন্য ঈশ্বরকে দায়ী করে। অন্যেরা এটা ভেবে আশ্চর্য হয়: ‘ঈশ্বর যদি সর্বশক্তিমান, ন্যায্য এবং প্রেমময়ই হন, তা হলে কেন তিনি মন্দতা ও দুঃখকষ্ট দূর করছেন না? কেন তিনি আমাদের দিন পর্যন্ত মন্দতা থাকতে দিয়েছেন?’ পরবর্তী প্রবন্ধ এগুলো এবং আরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর বিবেচনা করে।
[৩ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
AP Photo/Adam Butler