আপনি কি ভয়শূন্য এক জগতের জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষা করেন?
আপনি কি ভয়শূন্য এক জগতের জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষা করেন?
“আমরা ‘অসহায় . . . এবং সতর্কতার এক দীর্ঘস্থায়ী চূড়ান্ত অবস্থার’ মধ্যে বাস করছি, যেটা ‘অপর্যাপ্তভাবে বর্ণিত এমন এক . . . বিপদের কারণে সৃষ্টি হয়েছে, যা কোনো সংকেত ছাড়াই যেকোনো সময়ে যেকোনো রূপে আক্রমণ করতে পারে।’”
গত বছর নিউজউইক পত্রিকায় উদ্ধৃত এই কথাগুলো আজকের অশান্ত জগতে বসবাসরত অনেক লোকের অনুভূতিকে প্রতিফলিত করে। যিশু খ্রিস্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের অনুভূতি তীব্রতর হবে। তিনি এমন এক সময় সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যখন জাতিগুলোর মধ্যে এমন ধরনের ক্লেশ সৃষ্টি হবে যে, তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়বে আর ভয়ে এবং ভূমণ্ডলে যা যা ঘটবে তার আশঙ্কায় মানুষের প্রাণ উড়ে যাবে। তবে, আমাদের ভয় পাওয়ার বা অসহায় বোধ করার কোনো দরকার নেই কারণ যিশু আরও বলেছিলেন: “এ সকল ঘটনা আরম্ভ হইলে তোমরা ঊর্দ্ধ্বদৃষ্টি করিও, মাথা তুলিও, কেননা তোমাদের মুক্তি সন্নিকট।”—লূক ২১:২৫-২৮.
সেই মুক্তির পর পৃথিবীতে তাঁর লোকেদের জীবনযাত্রা সম্বন্ধে বর্ণনা করতে গিয়ে যিহোবা ঈশ্বর ঘোষণা করেছিলেন: “আমার প্রজাগণ শান্তির আশ্রমে, নিঃশঙ্কতার আবাসে ও নিশ্চিন্ততার বিশ্রাম-স্থানে বাস করিবে।” (যিশাইয় ৩২:১৮) তাঁর ভাববাদী মীখার মাধ্যমে, যিহোবা বলেছিলেন: “প্রত্যেকে আপন আপন দ্রাক্ষালতার ও আপন আপন ডুমুরবৃক্ষের তলে বসিবে; কেহ তাহাদিগকে ভয় দেখাইবে না।”—মীখা ৪:৪.
বর্তমান জীবনের চাইতে এটা কতই না আলাদা! অজানা কোনো বিপদ মানবজাতির জন্য ভয়ের কারণ হবে না। অসহায় এবং সতর্কতার এক দীর্ঘস্থায়ী চূড়ান্ত অবস্থার পরিবর্তে চিরস্থায়ী শান্তি ও সুখের অবস্থা বিরাজ করবে।