নোহের উদ্দেশে একটা চিঠি
নোহের উদ্দেশে একটা চিঠি
“প্রিয় নোহ, আমি বাইবেলে আপনার সম্বন্ধে এবং কীভাবে আপনি এক বিশাল জাহাজ নির্মাণ করেছিলেন, যেটাতে আপনি ও আপনার পরিবার জলপ্লাবনের মধ্যে দিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন, সেই বিষয়ে অনেকবার পড়েছি।”
এই কথাগুলো দিয়ে একটা চিঠি শুরু হয়, যেটা লেখে মিনামারিয়া নামের ১৫ বছরের একটি মেয়ে, যে ১৪ থেকে ২১ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের এক রচনা লেখা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। ফিনিশ ডাক ব্যবস্থা, ফিনিশ ভাষার শিক্ষক জোট এবং ফিনিশ সাহিত্য সমিতি, এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। প্রতিযোগীদের একটি বইয়ের ওপর ভিত্তি করে একটা চিঠি লিখতে হয়েছিল। চিঠিটা বইয়ের গ্রন্থকার অথবা এর একটা চরিত্রের উদ্দেশে লিখতে হয়েছিল। শিক্ষকরা তাদের ছাত্রছাত্রীদের চিঠিগুলোর মধ্যে থেকে ১,৪০০টা চিঠি বাছাই করেছিল এবং সেগুলো প্রতিযোগিতার বিচারকমণ্ডলীর কাছে পাঠিয়েছিল। পরে বিচারকমণ্ডলী সবচেয়ে সেরাটা, এরপর দশটা দ্বিতীয় সেরা এবং দশটা তৃতীয় সেরা রচনা নির্বাচন করেছিল। মিনামারিয়া খুবই আনন্দিত হয়েছিল যে, তার চিঠিটা তৃতীয় বিভাগে স্থান পেয়েছিল।
কেন এক কিশোরী ছাত্রী মিনামারিয়া নোহকে তার চিঠি লিখেছিল, যে-ব্যক্তি প্রায় ৫,০০০ বছর আগে জীবিত ছিলেন? সে বলে: “আমার মনে সবচেয়ে প্রথমে বাইবেলের কথাই এসেছিল। বাইবেলের চরিত্রগুলো আমার কাছে খুবই পরিচিত হয়ে উঠেছে। আমি তাদের সম্বন্ধে এত বেশি পড়েছি যে, তাদেরকে আমার কাছে জীবন্ত বলেই মনে হয়। নোহকে আমি বেছে নিয়েছিলাম কারণ তার জীবন আমার জীবনের চেয়ে খুবই রোমাঞ্চকর এবং আলাদা ছিল।”
নোহের উদ্দেশে মিনামারিয়ার চিঠিটা এই কথাগুলো দিয়ে শেষ হয়: “আপনি এখন পর্যন্ত বিশ্বাস ও বাধ্যতার এক দৃষ্টান্ত। যারা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী কাজ করার জন্য বাইবেল পড়ে, আপনার জীবনধারা তাদের সবাইকে উৎসাহিত করে।”
এক কিশোরী বাইবেল পাঠিকার এই চিঠি স্পষ্টভাবে দেখায় যে, বাইবেল সত্যিই যুবক-বৃদ্ধ উভয় প্রকার লোকেদের জন্যই “জীবন্ত ও কার্য্যসাধক।”—ইব্রীয় ৪:১২.