যারা সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করছে তাদের জন্য সান্ত্বনা
যারা সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করছে তাদের জন্য সান্ত্বনা
বাইবেল মনোবিদ্যার কোনো বই নয়। তবুও, এটি আমাদের সান্ত্বনা দেয় এবং যদিও আমরা নানারকম সমস্যার মুখোমুখি হই, আমাদেরকে জীবন উপভোগ করতে সাহায্য করে। বাস্তবসম্মতভাবে, শাস্ত্র জানায়: “মনুষ্য, অবলাজাত সকলে, অল্পায়ু ও উদ্বেগে পরিপূর্ণ।” (ইয়োব ১৪:১) আমাদের কিছু পরীক্ষার জন্য আমাদের নিজ অসিদ্ধতা দায়ী। কিন্তু, মানুষের দুঃখকষ্টের জন্য মূলত কে দায়ী?
বাইবেল তাকে এক দুষ্ট আত্মিক ব্যক্তি হিসেবে শনাক্ত করে, যাকে দিয়াবল ও শয়তান বলা হয়। সে “সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মায়” এবং মানবজাতি যেসমস্ত সমস্যার দ্বারা জর্জরিত, সেগুলোর অধিকাংশের জন্য দায়ী। কিন্তু, বাইবেল আমাদের এও জানায় যে, তার সময় শেষ হয়ে আসছে। (প্রকাশিত বাক্য ১২:৯, ১২) পৃথিবীর অধিবাসীদের ওপর শয়তান যেসব দুর্দশা নিয়ে এসেছে, সেগুলো ঐশিক হস্তক্ষেপের দ্বারা শীঘ্রই শেষ হবে। বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে, ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত ধার্মিকতার নতুন জগৎ সমস্ত নিরাশা ও হতাশাকে দূর করবে।—২ পিতর ৩:১৩.
মানুষের দুঃখকষ্ট ক্ষণস্থায়ী, এ কথা জানা কতই না সান্ত্বনাজনক! যিশু খ্রিস্টের কর্তৃত্বাধীন ঈশ্বরের স্বর্গীয় রাজ্যের শাসনাধীনে অবিচার ও দুঃখকষ্ট শেষ হবে। ঈশ্বরের মনোনীত রাজার সম্বন্ধে শাস্ত্র জানায়: “তিনি আর্ত্তনাদকারী দরিদ্রকে, এবং দুঃখী ও নিঃসহায়কে উদ্ধার করিবেন। তিনি দীনহীন ও দরিদ্রের প্রতি দয়া করিবেন, তিনি দরিদ্রগণের প্রাণ নিস্তার করিবেন। তিনি চাতুরী ও দৌরাত্ম্য হইতে তাহাদের প্রাণ মুক্ত করিবেন, তাঁহার দৃষ্টিতে তাহাদের রক্ত বহুমূল্য হইবে।”—গীতসংহিতা ৭২:১২-১৪.
এই ভবিষ্যদ্বাণীমূলক কথাগুলোর পরিপূর্ণতার সময় খুবই কাছে। অপূর্ব পরিস্থিতিতে এক পরমদেশ পৃথিবীতে আমরা অনন্তজীবন উপভোগ করতে পারব। (লূক ২৩:৪৩; যোহন ১৭:৩) সান্ত্বনাদায়ক এই শাস্ত্রীয় প্রতিজ্ঞাগুলো সম্বন্ধে জ্ঞান, যারা সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করছে তাদের আশা ও সান্ত্বনা দেয়।
[৩২ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
বিষণ্ণ মেয়ে: Photo ILO/J. Maillard