যাদের কাছে পৌঁছানো মুশকিল তাদের কাছে যাওয়া
রাজ্য ঘোষণাকারীরা বিবৃতি দেয়
যাদের কাছে পৌঁছানো মুশকিল তাদের কাছে যাওয়া
যিহোবার সাক্ষিরা সকলের কাছে রাজ্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। যাদেরকে প্রায়ই ঘরে পাওয়া যায় না তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কখনও কখনও বিশেষ প্রচেষ্টার দরকার হয়। (মার্ক ১৩:১০) এই বিষয়ে, দক্ষিণ আমেরিকার একটা দেশের একজন বিশেষ অগ্রগামী ভাই নিচের অভিজ্ঞতাটা বলেন।
“একদিন আমি শুনতে পাই যে, আমাকে ও আমার স্ত্রীকে যে এলাকায় প্রচার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, ওই রাজ্যের গভর্নর সেই এলাকা পরিদর্শন করবেন। যেহেতু তার কাছে পৌঁছানো মুশকিল ছিল, তাই আমি তাকে একটা চিঠি লিখি আর সেইসঙ্গে বাইবেল-ভিত্তিক কয়েকটা প্রকাশনা, যেমন ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে কী চান ব্রোশার এবং ঈশ্বরের জন্য মানবজাতির অন্বেষণ (ইংরেজি) ও জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে বই পাঠিয়ে দিই। চিঠিতে আমি প্রত্যেকটা প্রকাশনার উদ্দেশ্য বুঝিয়ে লিখেছিলাম।
“সাহিত্যগুলো তার কেমন লেগেছে, তা জানার জন্য খুবই আগ্রহী ছিলাম বলে আমি তার সঙ্গে দেখা করার জন্য অনুরোধ জানাই। কয়েক সপ্তা পর আমাকে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় আর আমি যিহোবার সাক্ষীরা—নামের পিছনে যে সংগঠন (ইংরেজি) ভিডিও ক্যাসেটটা সঙ্গে নিয়ে যাই। প্রায় দুঘন্টা ধরে আলোচনা হয়েছিল। গভর্নরের সঙ্গে ভিডিওটা দেখার পর, আমি তাকে জিজ্ঞেস করি যে ভিডিওটার বিষয়ে তিনি কী মনে করেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন: ‘পৃথিবীতে আপনাদের সংগঠনের মতো আর কোন সংগঠন নেই। আমার সরকারি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য আমার সঙ্গে যদি আপনাদের মতো লোকেরা থাকতেন!’ এরপর তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আমি কখনও আমাদের বিশ্বপ্রধান কার্যালয়ে গিয়েছি কি না। আমি তাকে জানাই যে, যদিও ১৪ বছর বয়স থেকেই এটা আমার লক্ষ্য ছিল কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক ব্রুকলিনে আমাদের বিশ্বপ্রধান কার্যালয়টা দেখার সুযোগ হয়নি। এটা ছিল এমন এক লক্ষ্য, যেখানে পৌঁছাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। মুহূর্তের জন্য তিনি আমার দিকে তাকান। এরপর তিনি বলেন যে তিনি আমাকে সেই সুযোগ করে দিতে চান। তিনি আমাদের আইন-সংক্রান্ত অনুমতি এনে দেওয়ার ভার নেন ও উপহার হিসেবে আমাদেরকে প্লেনের দুটো টিকিট দেন!
“এই গভর্নর এখন নিয়মিত প্রহরীদুর্গ ও সচেতন থাক! পত্রিকা নেন। আশা রাখি যে শীঘ্রিই তার সঙ্গে আমরা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করব।”