প্রচ্ছদ বিষয়
অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন!
“সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমি আমার বান্ধবীদের সঙ্গে সাধারণত হেঁটেই বাড়ি ফিরে আসি। কিন্তু একদিন আমি এত ক্লান্ত ছিলাম যে, আমি একটা ট্যাক্সি নেব বলে ঠিক করি।
“ড্রাইভার আমাকে বাড়ির দিকে নিয়ে যায়নি। এর পরিবর্তে, সে আমাকে একটা ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায়, যেখানে সে আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আমি প্রাণপণে চিৎকার করায় সে পিছু হটে যায়। সে যখন আবার আমার দিকে আসে, তখন আমি চিৎকার করে ছুটতে আরম্ভ করি।
“আগে আমি প্রায়ই চিন্তা করতাম যে, ‘চিৎকার করা কীভাবে সাহায্য করতে পারে?’ কিন্তু আমি শিখেছি যে, এটা সত্যিই কার্যকর!”—সুরভী। *
অ নেক দেশে, অপরাধ সবসময় একটা সমস্যা। উদাহরণস্বরূপ, একটা দেশের একজন বিচারক বলেন: “সবচেয়ে খারাপ ঘটনা হল, শেষপর্যন্ত প্রত্যেকেই অপরাধের শিকার হয়ে পড়ে।” আবার অন্যান্য দেশে, হয়তো কম অপরাধমূলক কাজ হয়ে থাকে। তবুও, আমার কিছু হবে না এমনটা ধরে নেওয়া মূর্খতার কাজ হবে, কেননা এ-রকম মনোভাব বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে।
আপনি যেখানে বসবাস করেন, সেখানে অপরাধমূলক কাজ বেশি বা কম যা-ই হোক না কেন, আপনি কীভাবে আপনার ও আপনার প্রিয়জনদের জীবন নিরাপদে রাখতে পারেন? একটা যে-ব্যবহারিক পদক্ষেপ আপনি নিতে পারেন, তা হল বাইবেলের পাওয়া এই নীতি কাজে লাগানোর দ্বারা, যা বলে: “জ্ঞানী ব্যক্তিরা আগে থেকে সংকটের আভাষ পায় এবং সে পথ থেকে দূরে থাকে। কিন্তু মূর্খরা সমস্যার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে দুর্ভোগ পোহায়।” (হিতোপদেশ ২২:৩, ইজি-টু-রিড ভারসন) একইরকমভাবে, পুলিশ আধিকারিকরা পরামর্শ দেয়, একজন যাতে অপরাধের শিকার না হয়, তার জন্য আগে থেকে প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন।
অপরাধের শিকার হলে শুধুমাত্র যে শারীরিক আঘাত এবং জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়, তা-ই নয়। অনেকে দীর্ঘস্থায়ী মানসিক ও আবেগগত কষ্টে ভোগে। তাই এটা কতই না গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য আমরা যথাসাধ্য করি! এই লক্ষ্য মাথায় রেখে আসুন, আমরা অপরাধের চারটি ক্ষেত্র বিবেচনা করে দেখি যে, কীভাবে তা থেকে আপনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেন। যেগুলো হল ছিনতাই, যৌন হয়রানি, সাইবার অপরাধ ও ব্যক্তিগত তথ্য চুরি।
ছিনতাই
এটা কী? ছিনতাই হল জোর করে বা বলপ্রয়োগ করার ভয় দেখিয়ে জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া।
কীভাবে এটা লোকেদের প্রভাবিত করে? ব্রিটেনে অস্ত্র দেখিয়ে পর পর কয়েকটা ছিনতাইয়ের ঘটনার পর একজন সরকারি উকিল লক্ষ করেন, যদিও লোকেদের শারীরিক ক্ষতি হয়নি কিন্তু প্রত্যেকেই মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছে। তিনি বলেন: “এদের মধ্যে অনেকেই বলে যে, তারা ক্রমাগত আতঙ্কে ভোগে ও রাতে তাদের ঘুম হয় না। আর প্রায় প্রত্যেকেই বলে তাদের ওপর যা ঘটেছিল, সেটার প্রভাব তাদের দৈনন্দিন কাজের ওপর পড়েছিল।”
আপনি কী করতে পারেন?
-
সতর্ক থাকুন। চোরেরা সুযোগ খোঁজে। তারা অসতর্ক লোকেদের আক্রমণ করে। তাই, আপনাকে যারা লক্ষ করছে তাদের দেখুন, আপনার চারপাশে কী হচ্ছে সেই দিকে খেয়াল রাখুন আর অতিরিক্ত মদ্যপান বা ড্রাগ নেওয়ার দ্বারা আপনার চিন্তাশক্তি ও বিচারশক্তিকে দুর্বল হতে দেবেন না। স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় একটা এনসাইক্লোপিডিয়া বলে, ‘একজন ব্যক্তি যখন মদ্যপান করেন বা ড্রাগ নেন, তখন তার পক্ষে স্পষ্টভাবে চিন্তা করা ও সম্ভাব্য বিপদজনক পরিস্থিতি বোঝা কঠিন হয়ে ওঠে।’
-
আপনার জিনিসপত্র সুরক্ষিত রাখুন। আপনার গাড়ি ও সেইসঙ্গে আপনার ঘরের দরজা ও জানালা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কখনো অপরিচিত কাউকে ঘরে ঢুকতে দেবেন না। মূল্যবান জিনিসপত্র চোখের সামনে রাখবেন না; সেগুলো জাহির করবেন না। হিতোপদেশ ১১:২ পদ বলে, “প্রজ্ঞাই নম্রদিগের সহচরী।” চোরেরা, এমনকী দুষ্ট ছেলে-মেয়েরাও প্রায়ই সেই লোকেদের আক্রমণ করে, যারা তাদের দামি গয়না ও ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো জাহির করে।
-
অন্যের পরামর্শ নিন। “অজ্ঞানের পথ তাহার নিজের দৃষ্টিতে সরল; কিন্তু যে জ্ঞানবান, সে পরামর্শ শুনে।” (হিতোপদেশ ১২:১৫) আপনি যদি কোথাও বেড়াতে যান, তাহলে সেই জায়গা সম্বন্ধে জানে এমন স্থানীয় ব্যক্তি ও সেইসঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের পরামর্শ আগে থেকে নিন। তারা আপনাকে বলে দিতে পারবে যে, কোন কোন জায়গাগুলো বিপদজনক আর কীভাবে আপনি নিজেকে ও আপনার জিনিসগুলো রক্ষা করতে পারেন।
যৌন হয়রানি
এটা কী? যৌন হয়রানি বলতে শুধু ধর্ষণকেই বোঝায় না কিন্তু সেইসঙ্গে বলপূর্বক, জোর করে বা ভয় দেখিয়ে যৌনসম্পর্ক করাকেও বোঝায়।
কীভাবে এটা লোকেদের প্রভাবিত করে? ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন একজন বলেন, “সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়টা হল, এটা শুধু সেই সময়েই আপনার ক্ষতি করে এমন নয়। এটা সবসময় আপনাকে তাড়া করে বেড়ায় আর জীবন সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে পালটে দেয়। এ ছাড়াও যারা আপনাকে ভালোবাসে, এটা তাদের জীবনও পালটে দেয়।” এটা ঠিক যে, যার ওপর যৌন হয়রানি করা হয়েছে তিনি এটার জন্য দায়ী নন। যে এই অপরাধ করেছে, সে-ই এটার জন্য দায়ী।
আপনি কী করতে পারেন?
-
আপনি যদি কিছু আঁচ করতে পারেন, তাহলে সেটাকে উপেক্ষা করবেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনার পুলিশ বিভাগ পরামর্শ দেয়, “যদি কোনো জায়গা বা কোনো ব্যক্তিকে আপনার অস্বস্তিকর বা অসুবিধাজনক বলে মনে হয়, তবে সঙ্গেসঙ্গে সেখান থেকে চলে আসুন। যদি আপনার মন আপনাকে বলে যে বিপদ আছে আর অন্য কেউ যদি আপনাকে থাকার জন্য জোর করে, তবে তার কথায় কান দেবেন না।”
-
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করুন; মন স্থির রাখুন। যৌন হয়রানকারীরা অসতর্ক ও অসহায় লোকেদের খোঁজে। তাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে চলুন এবং সতর্ক থাকুন।
-
আক্রান্ত হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কিছু করুন। চিৎকার করুন। (দ্বিতীয় বিবরণ ২২:২৫-২৭) ছুটে পালান বা হতবাক করে দেওয়ার মতো কিছু দিয়ে তাকে পাল্টা আক্রমণ করুন। আর যদি সম্ভব হয়, নিরাপদ জায়গায় ছুটে পালান ও পুলিশকে ডাকুন। *
সাইবার অপরাধ
এটা কী? সাইবার অপরাধ হল অনলাইনে করা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ। এর অন্তর্ভূক্ত কর ফাঁকি দেওয়া, যে-সুবিধাগুলো তাদের পাওয়ার কথা নয় তা নেওয়া, যে-ক্রেডিট কার্ডগুলো তাদের নয় তা ব্যবহার করা এবং কোনো জিনিস না পাঠিয়েই আগে থেকে তার দাম নিয়ে নেওয়া। এ ছাড়াও, এর মধ্যে রয়েছে সেইসমস্ত প্রতারণাজনক বিনিয়োগ যাতে লোককে ঠকানো হয় এবং অনলাইনে নিলাম।
কীভাবে এটা লোকেদের প্রভাবিত করে? সাইবার অপরাধের ফলে একজন ব্যক্তিকে ও সেইসঙ্গে পুরো সমাজকে কোটি কোটি টাকার লোকসান ভোগ করতে হয়। একটা ঘটনা বিবেচনা করুন। স্যান্ড্রা নামে একজন মহিলা একটা ই-মেল পান, যেটা তার ব্যাঙ্ক তাকে পাঠিয়েছে বলে তিনি মনে করেছিলেন। এই ই-মেলে তার অনলাইন ব্যাঙ্কিং-এর বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো পাঠানোর কিছু পরেই তিনি এটা দেখে আশ্চর্য হয়ে যান যে, তার আ্যকাউন্ট থেকে ৪,০০০ মার্কিন ডলার একটা বিদেশি ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে। সঙ্গেসঙ্গে স্যান্ড্রা বুঝতে পারেন যে, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
আপনি কী করতে পারেন?
-
সতর্ক থাকুন! দেখতে হুবহু একইরকম কিন্তু নকল এমন ওয়েবসাইটগুলোর দ্বারা ভ্রান্ত হবেন না আর সবসময় মনে রাখুন যে, বৈধ অর্থনৈতিক সংস্থাগুলো আপনাকে অত্যন্ত গোপনীয় তথ্যগুলো ই-মেলে পাঠাতে বলবে না। অনলাইনে কেনাকাটা বা বিনিয়োগ করার আগে কোম্পানির সুনাম সম্বন্ধে খোঁজখবর নিন। হিতোপদেশ ১৪:১৫ পদ বলে, “যে অবোধ, সে সকল কথায় বিশ্বাস করে, কিন্তু সতর্ক লোক নিজ পাদক্ষেপের প্রতি লক্ষ্য রাখে।” আর বিদেশে অবস্থিত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে লেনদেন করার সময় সাবধান থাকুন। যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তা সমাধান করা খুবই কঠিন হতে পারে।
-
কোম্পানি ও এটার পলিসিগুলো যাচাই করে নিন। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘এই কোম্পানির কি কোনো স্থায়ী ঠিকানা আছে? ফোন নম্বর কি সঠিক? আমার কেনাকাটার সঙ্গে কি অতিরিক্ত মূল্য জড়িত? কখন আমাকে জিনিসটা হাতে দেওয়া হবে? এটাকে কি ফেরত দেওয়া যাবে আর এর দাম কি তারা ফেরত দেবে?’
-
অসম্ভব বলে মনে হতে পারে এমন অফারগুলো খুঁটিয়ে দেখুন। যারা লোভী ও যারা নামমাত্র খরচে কিছু পেতে চায়, তারাই হল অনলাইন চোরদের প্রাথমিক লক্ষ্য। টোপগুলো হতে পারে, কম কাজ করে বেশি টাকা, আপনার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ঋণ দেওয়া কিংবা বেশি লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগ করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) অনুসারে, “সময় নিয়ে কোনো বিনিয়োগের অফারের বৈধতা যাচাই করুন। যত বেশি লাভের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, ঝুঁকিও তত বেশি থাকে। কোনো প্রোমোটারের চাপে পড়ে কোনো বিনিয়োগের বৈধতা যাচাই না করেই বিনিয়োগ করবেন না।”
ব্যক্তিগত তথ্য চুরি
এটা কী? ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হল, প্রতারণা অথবা অন্য যেকোনো ধরনের অপরাধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে বেআইনিভাবে অন্য কারোর ব্যক্তিগত তথ্য জোগাড় করা ও তা ব্যবহার করা।
কীভাবে এটা লোকেদের প্রভাবিত করে? চোরেরা হয়তো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ক্রেডিট কার্ড বা ঋণ নেওয়ার কিংবা নতুন আ্যকাউন্ট খোলার জন্য ব্যবহার করতে পারে। এরপর তারা আপনার নামে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারে! আপনি যদি শেষপর্যন্ত ঋণ বাতিল করতে সক্ষমও হন, তবুও বহু বছরের জন্য আপনার সুনাম কলঙ্কিত হতে পারে। এটার শিকার হওয়া একজন ব্যক্তি বলেন, “সুনাম নষ্ট হয়ে যাওয়া, টাকা নিয়ে নেওয়ার চেয়েও বেশি মারাত্মক হতে পারে।”
আপনি কী করতে পারেন?
-
অতীব দরকারী তথ্যগুলো সুরক্ষিত রাখুন। আপনি যদি অনলাইনে ব্যাঙ্কিং বা কেনাকাটা করেন, তাহলে নিয়মিতভাবে আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন
করুন, বিশেষ করে আপনি যদি অন্যদের কম্পিউটার ব্যবহার করেন। আগে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোনো ই-মেলে অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়, তবে তা খুঁটিয়ে দেখুন।যারা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে তারা শুধু কম্পিউটারকেই ব্যবহার করে না। তারা যেকোনো উপায়ে আপনার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, চেকবই, ক্রেডিট কার্ড এবং সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাই, এই নথিগুলো সুরক্ষিত রাখুন এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ফেলে দেওয়ার আগে সেগুলো ছিঁড়ে ফেলুন। তবে, আপনার যদি সন্দেহ হয় যে, কোনো কিছু হারিয়ে গেছে বা চুরি হয়ে গেছে, তাহলে সঙ্গেসঙ্গে সেটার বিষয়ে রিপোর্ট করুন।
-
নিয়মিতভাবে আপনার আ্যকাউন্ট পরীক্ষা করুন। এফটিসি অনুসারে, ‘ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ক্ষেত্রে সচেতনতা হল এক কার্যকর উপায়। যদি আগে থেকে বোঝা যায় যে, ব্যক্তিগত তথ্য চুরির সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে তা অনেক উপকারী হতে পারে।’ নিয়মিতভাবে আপনার আ্যকাউন্ট পরীক্ষা করুন এবং অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়ে থাকলে তা দেখুন। *
এটা ঠিক যে, বর্তমান জগতে কোনো কিছুরই নিশ্চয়তা নেই। এমনকী সবচেয়ে সতর্ক ব্যক্তিরাও অপরাধের শিকার হয়ে থাকে। তাই আমরা সকলেই বাইবেলে পাওয়া প্রজ্ঞা ও জ্ঞান কাজে লাগানোর দ্বারা সবসময় উপকৃত হয়ে থাকি। “প্রজ্ঞাকে ছাড়িও না, সে তোমাকে রক্ষা করিবে; তাহাকে প্রেম কর, সে তোমাকে সংরক্ষণ করিবে।” (হিতোপদেশ ৪:৬) সবচেয়ে ভালো বিষয় হল, বাইবেল অপরাধ শেষ হওয়ার বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করে।
শীঘ্রই অপরাধ শেষ হবে
কেন আমরা আস্থা রাখতে পারি যে, ঈশ্বর অপরাধ শেষ করবেন? নীচের বিষয়গুলো বিবেচনা করুন:
-
ঈশ্বর অপরাধ শেষ করতে চান। “সদাপ্রভু বলেছেন, ‘আমি ন্যায়বিচার ভালোবাসি আর ডাকাতি ও অন্যায় ঘৃণা করি।’”—যিশাইয় ৬১:৮, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন।
-
অপরাধ শেষ করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। “ঈশ্বর অত্যন্ত শক্তিমান, সেই সঙ্গে তিনি আমাদের প্রতি সদয় ও নিষ্ঠাবান।”—ইয়োব ৩৭:২৩, ইজি-টু-রিড ভারসন।
-
তিনি দুষ্টদের ধ্বংস করার ও ধার্মিকদের রক্ষা করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। “দুরাচারগণ উচ্ছিন্ন হইবে।” “ধার্ম্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।”—গীতসংহিতা ৩৭:৯, ২৯.
-
তিনি তাঁর অনুগত লোকেদের এক শান্তিপূর্ণ নতুন জগৎ দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। “মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।”—গীতসংহিতা ৩৭:১১.
এই কথাগুলো কি আপনার হৃদয় স্পর্শ করে না? যদি করে, তাহলে মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও জানার জন্য সময় নিয়ে বাইবেল পরীক্ষা করুন। অন্য কোনো বইয়ে এর চেয়ে বেশি ব্যবহারিক প্রজ্ঞা নেই। এ ছাড়া, অন্য কোনো বই আমাদেরকে ভবিষ্যতে অপরাধমুক্ত এক পরিস্থিতি সম্বন্ধে প্রকৃত আশা দেয় না। * ◼ (g১৩-E ০৫)
^ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।
^ যৌন হয়রানির শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই তাদের আক্রমণকারীদের চেনে। আরও তথ্যের জন্য যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য—যে-উত্তরগুলো কাজ করে, খণ্ড ১ (ইংরেজি) বইয়ের ২২৮ পৃষ্ঠায় দেওয়া “কীভাবে আমি নিজেকে যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা করতে পারি?” শিরোনামের অংশটা দেখুন। এই বইটি www.jw.org-এ অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
^ কিছু কিছু দেশে, নামী সংস্থাগুলো রয়েছে, যেগুলো বিনামূল্যে আপনার আ্যকাউন্ট পরীক্ষা করে এবং এতে কোনো পরিবর্তন হয়ে থাকলে বা অস্বাভাবিক লেনদেন হয়ে থাকলে আপনাকে জানিয়ে দেয়।
^ বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? এই বইয়ে বাইবেলের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাগুলোর আরও তথ্য পাওয়া যাবে। যিহোবার সাক্ষিদের কাছ থেকে বিনামূল্যে একটি কপি নিন অথবা www.jw.org-এ অনলাইনে এটি পড়ুন।