শোকার্ত ব্যক্তিদের জন্য সাহায্য
শোকের নিদারুণ যন্ত্রণা
“দীর্ঘদিনের এক অসুস্থতা যখন সোফিয়ার a জীবন কেড়ে নেয়, তখন ও আর আমি ইতিমধ্যেই আমাদের বিবাহিত জীবনের ৩৯ বছরেরও বেশি সময় পার করেছিলাম। বন্ধুরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল আর আমি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলাম। তবুও, পুরো এক বছর ধরে মনে হয়েছে, আমাকে যেন দু-টুকরো করে ফেলা হয়েছে। মনে হতো, আমি নিজের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। এমনকী এখনও, ওর মৃত্যুর প্রায় তিন বছর পরও, আমি হঠাৎ করেই প্রচণ্ড কষ্ট অনুভব করতে থাকি আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগে থেকে তা বুঝতে পারি না।”—মাইকেল।
আপনি কি কোনো প্রিয়জনকে মৃত্যুতে হারিয়েছেন? যদি তা-ই হয়, তা হলে আপনি হয়তো মাইকেলের অনুভূতি বুঝতে পারেন। বিবাহিত সাথি, কোনো আত্মীয় কিংবা প্রিয় বন্ধুকে মৃত্যুতে হারানোর চেয়ে বেশি চাপপূর্ণ বা হৃদয়বিদারক ঘটনা খুব কমই রয়েছে। যে-বিশেষজ্ঞরা শোকের নিদারুণ যন্ত্রণা নিয়ে গবেষণা করেন, তারাও এই বিষয়ের সঙ্গে একমত। মনোরোগ চিকিৎসা বিষয়ক আমেরিকান পত্রিকা-য় (ইংরেজি) প্রকাশিত একটা প্রবন্ধ বলে, “মৃত্যু হল স্পষ্টতই সবচেয়ে স্থায়ী ও চরম ক্ষতি।” কাউকে হারিয়ে অসহনীয় কষ্টের মুখোমুখি হলে, একজন ব্যক্তি হয়তো ভাবতে পারে: ‘কতদিন পর্যন্ত এই অনুভূতি থাকবে? আমি কি আবার কখনো আনন্দ ফিরে পাব? কীভাবে আমি স্বস্তি লাভ করতে পারি?’
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সজাগ হোন! পত্রিকার এই সংখ্যায় আলোচনা করা হয়েছে। পরের প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে, আপনি যদি সম্প্রতি কোনো প্রিয়জনকে হারিয়ে থাকেন, তা হলে আপনি কোন পরিস্থিতিগুলোর মুখোমুখি হতে পারেন। আর এর পরের প্রবন্ধগুলোতে সেইসমস্ত উপায় সম্বন্ধে তুলে ধরা হয়েছে, যেগুলো আপনার শোকের তীব্রতা কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, পরের প্রবন্ধগুলোতে যে-বিষয়বস্তু রয়েছে, তা শোকের নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করছে এমন যেকোনো ব্যক্তিকে সান্ত্বনা ও ব্যাবহারিক সাহায্য প্রদান করবে।
a এই ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলোতে কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।