তারা নিজেদেরকে স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দিয়েছিলেন—ঘানায়
আপনি কি এমন কোনো ভাই অথবা বোনকে চেনেন, যিনি রাজ্য প্রকাশকদের বেশি প্রয়োজন এমন এলাকায় সেবা করার জন্য বিদেশে চলে গিয়েছেন? আপনি কি কখনো নিজেকে জিজ্ঞেস করেছেন: ‘কোন বিষয়টা তাদেরকে বিদেশে গিয়ে সেবা করতে অনুপ্রাণিত করেছে? কীভাবে তারা নিজেদেরকে এই ধরনের সেবার জন্য প্রস্তুত করেছে? আমি কি কখনো এইরকম সেবা করতে পারব?’ নিশ্চিতভাবেই, এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানার একটা ভালো উপায় হল, সেই ভাই-বোনদের সঙ্গে কথা বলা। আসুন আমরা এখন তাদের সঙ্গে কথা বলি।
কোন বিষয়টা তাদের অনুপ্রাণিত করেছে?
কেন আপনি যেখানে বেশি প্রয়োজন এমন দেশে গিয়ে সেবা করার বিষয়ে চিন্তা করতে শুরু করেছিলেন? যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এমির বয়স এখন ৩০-এর কোঠার মাঝামাঝি। তিনি বলেন: “অনেক বছর ধরে আমি বিদেশে গিয়ে সেবা করার বিষয়ে চিন্তা করেছিলাম, কিন্তু এই লক্ষ্যে পৌঁছানো আমার কাছে সাধ্যের অতীত বলে মনে হয়েছিল।” কোন বিষয়টা তার দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করেছে? “২০০৪ সালে, বেলিজে সেবারত এক দম্পতি আমাকে সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে এক মাস অগ্রগামী কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি তা করেছিলাম আর আমার খুব ভালো লেগেছিল! এক বছর পর, আমি অগ্রগামী হিসেবে সেবা করার জন্য ঘানায় চলে এসেছিলাম।”
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা আরেকজন বোন স্টেফেনির বয়স এখন ২০-এর কোঠার শেষের দিকে। কয়েক বছর আগে, তিনি নিজের পরিস্থিতি নিয়ে ভালোভাবে বিবেচনা করেছিলেন এবং এই চিন্তা করেছিলেন: ‘আমার শারীরিক অবস্থা ভালো আর আমার কোনো পারিবারিক বাধ্যবাধকতাও নেই। আসলে, এখন আমি যিহোবার সেবায় যতটুকু করছি, আমি তার চেয়ে আরও বেশি করতে পারি।’ সৎভাবে আত্মমূল্যায়ন করার ফলে তিনি নিজের পরিচর্যা বৃদ্ধি করার জন্য ঘানায় চলে আসতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ফিলিপ ও আইডা নামে এক অগ্রগামী দম্পতি ডেনমার্ক থেকে এসেছেন, যাদের বয়স ৬০-এর কোঠার শুরুর দিকে। তাদের স্বপ্ন ছিল এমন এলাকায় গিয়ে সেবা করা, যেখানে রাজ্য প্রকাশকদের বেশি প্রয়োজন রয়েছে। তারা তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজেছিলেন। ফিলিপ বলেন, “যখন সেই সুযোগ এসেছিল, তখন মনে হয়েছিল যেন যিহোবা আমাদের বলছেন: ‘এগিয়ে যাও!’” ২০০৮ সালে তারা ঘানায় চলে এসেছিলেন এবং তিন বছরেরও বেশি সময় এখানে সেবা করেছিলেন।
১ বংশা. ১৭:১-৪, ১১, ১২; ২২:৫-১১) ব্রুক আরও যুক্ত করেন, “যিহোবা চেয়েছিলেন যেন আমরা আরেকটা দ্বারে আঘাত করি।”
হাঞ্জ ও ব্রুক দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রগামী হিসেবে সেবা করছেন আর তাদের বয়স এখন ৩০-এর কোঠায়। ২০০৫ সালে, হারিকেন ক্যাটরিনার আঘাতে যে-দুর্যোগ দেখা দিয়েছিল, সেই সময়ে তারা ত্রাণকাজে সহযোগিতা করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে, তারা আন্তর্জাতিক নির্মাণ প্রকল্পে সাহায্য করার জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। হাঞ্জ স্মরণ করে বলেন, “এরপর, আমরা সম্মেলনে একটা বক্তৃতা শুনেছিলাম, যেখানে বলা হয়েছিল, রাজা দায়ূদ এই বিষয়টা মেনে নিয়েছিলেন যে, তাকে মন্দির নির্মাণ করার সুযোগ দেওয়া হবে না আর তাই তিনি নিজের লক্ষ্য পরিবর্তন করেছিলেন। এই বিষয়টা আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছিল, একজন ব্যক্তির আধ্যাত্মিক লক্ষ্য পরিবর্তন হতে পারে।” (অন্যান্য দেশে সেবা করছে এমন বন্ধুদের কাছ থাকে বিভিন্ন আগ্রহজনক অভিজ্ঞতা শোনার পর, হাঞ্জ ও ব্রুক বিদেশে অগ্রগামী সেবা করে দেখার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ২০১২ সালে তারা ঘানাতে গিয়ে চার মাসের জন্য সেখানে সেবা করতে পেরেছিলেন এবং একটা সাংকেতিক ভাষার মণ্ডলীতে সাহায্য করেছিলেন। যদিও তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে হয়েছিল, তবে ঘানায় সেবা করার অভিজ্ঞতা, রাজ্যের বিষয়কে জীবনে প্রথমে রাখার ব্যাপারে তাদের আকাঙ্ক্ষাকে আরও বৃদ্ধি করেছিল। তখন থেকে তারা মাইক্রোনেশিয়ায় একটা শাখা অফিস নির্মাণে সাহায্য করছেন।
লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া
কীভাবে আপনি যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানে সেবা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? স্টেফেনি বলেন, “আমি প্রহরীদুর্গ পত্রিকা থেকে যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানে সেবা করার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রবন্ধগুলো নিয়ে গবেষণা করেছিলাম। * এ ছাড়া, আমি মণ্ডলীর প্রাচীনদেরকে এবং সীমা অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীকে বিদেশে সেবা করার বিষয়ে আমার আকাঙ্ক্ষা সম্বন্ধে জানিয়েছিলাম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল, আমি যিহোবার কাছে প্রার্থনায় আমার লক্ষ্য সম্বন্ধে বার বার উল্লেখ করেছিলাম।” একইসময়ে, স্টেফেনি নিজের জীবনকে সাদাসিধে রেখেছিলেন। এর ফলে, তিনি টাকা সঞ্চয় করতে পেরেছিলেন, যাতে বিদেশে গিয়ে সেবা করার সময় নিজের ভরণ-পোষণ করতে পারেন।
হাঞ্জ মন্তব্য করেন: “আমরা নির্দেশনার জন্য যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম কারণ তিনি
আমাদের যেখানে নিয়ে যান, আমরা সেখানেই যেতে চেয়েছিলাম। এ ছাড়া, আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য আমরা প্রার্থনায় নির্দিষ্ট সময়ও অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম।” এই দম্পতি চারটে শাখা অফিসে চিঠি লিখেছিলেন। ঘানার শাখা অফিস থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লাভ করার পর, তারা দু-মাস থাকার উদ্দেশ্যে ঘানায় গিয়েছিলেন। হাঞ্জ বলেন, “মণ্ডলীর সঙ্গে কাজ করতে আমাদের এতটাই ভালো লেগেছিল যে, আমরা সেখানে থাকার সময় বাড়িয়েছিলাম।”কানাডা থেকে আসা জর্জ ও আ্যড্রিয়া দম্পতির বয়স ৩০-এর কোঠার শেষের দিকে। তারা এটা মনে রেখেছিলেন, যিহোবা শুধু উত্তম উদ্দেশ্যের উপরই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে উত্তম সিদ্ধান্তের উপরও আশীর্বাদ করেন। তাই, তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ঘানার যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানে সেবা করছেন এমন একজন বোনের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছিলেন এবং তাকে অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন। আর তারা কানাডা ও ঘানার শাখা অফিসে চিঠি লিখেছিলেন। আ্যড্রিয়া বলেন, “এ ছাড়া, আমরা নিজেদের জীবনকে আরও সাদাসিধে করার বিভিন্ন উপায় খুঁজেছিলাম।” এই সিদ্ধান্তগুলোর কারণে তারা ২০০৪ সালে ঘানায় চলে আসতে পেরেছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মোকাবিলা করা
এখানে চলে আসার পর আপনি কোন কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন আর কীভাবে সেগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন? এমির প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, বাড়ির জন্য তার মন খারাপ হতো। “আমার পরিচিত পরিবেশ থেকে সব কিছু অনেক আলাদা ছিল।” কোন বিষয়টা তাকে সাহায্য করেছিল? “পরিবারের সদস্যরা ফোন করে বলত, আমার সেবাকে তারা কতটা উপলব্ধি করে। এটা আমাকে মনে রাখতে সাহায্য করেছে, কেন আমি এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে, আমি ও আমার পরিবার ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতে শুরু করি। আমরা যেহেতু একে অন্যকে দেখতে পারতাম, তাই আমার আর এমনটা মনে হতো না, আমার পরিবার অনেক দূরে আছে।”
এমি জানান, একজন অভিজ্ঞ স্থানীয় বোনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। আর এর ফলে তিনি স্থানীয় রীতিনীতি সম্বন্ধে আরও বোধগম্যতা লাভ করতে পেরেছিলেন। “নির্দিষ্ট কোনো পরিস্থিতিতে লোকেরা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাত, তা যখন আমি বুঝতে পারতাম না, তখনই আমি আমার বন্ধুর কাছে ছুটে যেতে পারতাম।” তার সাহায্যের কারণে আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমাকে কী করতে হবে এবং কী এড়িয়ে চলতে হবে আর এটা আমার পরিচর্যা সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে অনেক উপকারী হয়েছে।জর্জ এবং আ্যড্রিয়া বলেন, তারা যখন প্রথম ঘানায় এসেছিলেন, তখন তাদের মনে হয়েছিল যেন তারা মান্ধাতার আমলে চলে গিয়েছেন। আ্যড্রিয়া বলেন, “ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করার পরিবর্তে আমরা বালতি ব্যবহার করতাম। এক বেলার খাবার প্রস্তুত করার জন্য আগের চেয়ে দশ গুণ বেশি সময় লাগত। কিন্তু কিছুটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর, যে-বিষয়গুলোকে আমাদের কাছে কঠিন বলে মনে হয়েছিল, সেগুলোর বিষয়ে আমরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছিলাম এবং সেগুলোকে কেবল নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখেছিলাম।” ব্রুক বলেন: “আমরা অগ্রগামীরা, বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও এক পরিতৃপ্তিদায়ক জীবন উপভোগ করি। আমরা যখন আমাদের বিভিন্ন চমৎকার অভিজ্ঞতা একসঙ্গে যুক্ত করি, তখন আমরা একটা সুন্দর স্মৃতির ডালা সাজাতে পারি, যা আমাদের কাছে মূল্যবান ধনের মতো।”
এক পরিতৃপ্তিদায়ক পরিচর্যা
কেন আপনি অন্যদেরকে রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই ধরনের সেবা করার ব্যাপারে উৎসাহিত করবেন? স্টেফেনি বলেন, “এই এলাকায় লোকেরা সত্য জানার ব্যাপারে এতটাই আগ্রহী যে, তারা প্রতিদিন বাইবেল অধ্যয়ন করতে চায়। এমন এলাকায় প্রচার করতে পারা সত্যিই আনন্দের বিষয়। যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানে গিয়ে সেবা করার সিদ্ধান্তটা আমার জীবনের একটা উত্তম সিদ্ধান্ত!” ২০১৪ সালে, আ্যরন নামে একজন ভাইয়ের সঙ্গে স্টেফেনির বিয়ে হয় আর তারা এখন ঘানার শাখা অফিসে সেবা করছেন।
“এটা এক দারুণ অভিজ্ঞতা,” ক্রিস্টিন নামে জার্মানি থেকে আসা একজন অগ্রগামী বলেন, যার বয়স এখন ৩০-এর কোঠার শুরুর দিকে। ঘানায় আসার আগে ক্রিস্টিন বলিভিয়ায় সেবা করেছিলেন। তিনি আরও বলেন: “পরিবার থেকে অনেক দূরে থাকায়, আমি সবসময় যিহোবার কাছে সাহায্য চাই। তিনি আমার কাছে আগের চেয়ে আরও বাস্তব ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। এ ছাড়া, আমি যিহোবার লোকেদের মধ্যে অসাধারণ একতা দেখার সুযোগ পেয়েছি। এই সেবা আমার জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে।” সম্প্রতি গিডিয়েন নামে একজন ভাইয়ের সঙ্গে ক্রিস্টিনের বিয়ে হয়েছে আর তারা দু-জন এখন ঘানায় সেবা করছেন।
ফিলিপ ও আইডা তাদের বাইবেল ছাত্রদের যেভাবে উন্নতি করতে সাহায্য করেছিলেন, সেই বিষয়ে আমাদের জানিয়েছেন। “আগে আমাদের ১৫টা বা তার চেয়ে বেশি বাইবেল অধ্যয়ন ছিল, কিন্তু আমাদের ছাত্রদের আরও ভালোভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা অধ্যয়নের সংখ্যা কমিয়ে ১০টা করেছি।” এর ফলে কি ছাত্ররা উপকৃত হয়েছে? ফিলিপ বলেন: “মাইকেল নামে একজন যুবকের সঙ্গে আমি অধ্যয়ন করতাম। সে প্রতিদিন বাইবেল অধ্যয়ন করত আর এত ভালোভাবে প্রস্তুতি নিত যে, আমরা এক মাসের মধ্যেই বাইবেল শিক্ষা দেয় বই শেষ করে ফেলি। এরপর, মাইকেল একজন অবাপ্তাইজিত প্রকাশক হয়েছিল। ক্ষেত্রের পরিচর্যার প্রথম দিন সে আমাকে বলেছিল, ‘আপনি কি আমাকে বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করায় সাহায্য করতে পারেন?’ আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়েছিলাম। মাইকেল বলেছিল, সে ইতিমধ্যেই তিনটা অধ্যয়ন শুরু করেছে আর সেগুলো পরিচালনা করার জন্য তার একটু সাহায্য দরকার।” একটু কল্পনা করুন, শিক্ষকদের প্রয়োজন এতই বেশি যে, এমনকী বাইবেল ছাত্ররাও বাইবেলের শিক্ষক হয়ে উঠেছে!
এমি কত দ্রুত এখানকার প্রয়োজন উপলব্ধি করেছিলেন, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন: “ঘানায় আসার অল্পসময় পর আমরা একটা ছোট্ট গ্রামে প্রচার করেছিলাম এবং বধির ব্যক্তিদের খুঁজেছিলাম। আমরা একটা গ্রামেই আট জন বধির ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়েছিলাম!” এই সময়ের মধ্যে, এরিক নামে একজন ভাইয়ের সঙ্গে এমির বিয়ে হয় আর তারা এখন একসঙ্গে বিশেষ অগ্রগামী হিসেবে সেবা করছেন। তারা এই দেশের একটা সাংকেতিক ভাষার মণ্ডলীতে সাহায্য করছেন, যেখানে ৩০০-রও বেশি বধির প্রকাশক ও আগ্রহী ব্যক্তি রয়েছে। ঘানায় সেবা করার ফলে জর্জ এবং আ্যড্রিয়া একেবারে মিশনারিদের মতোই সেবা করার অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন। তাই, তারা যখন গিলিয়েড স্কুল-এর ১২৬তম ক্লাসে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, তখন তারা কতই-না আনন্দিত হয়েছিলেন! বর্তমানে, তারা মোজাম্বিকে মিশনারি হিসেবে সেবা করছে।
প্রেমের দ্বারা অনুপ্রাণিত
স্থানীয় ভাই-বোনদের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে আসা অনেক ভাই-বোনকে শস্যচ্ছেদনের কাজে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখা খুবই আনন্দদায়ক। (যোহন ৪:৩৫) ঘানায় প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১২০ জন ব্যক্তি বাপ্তিস্ম নেয়। যে-সতেরো জন ব্যক্তি ঘানায় চলে এসেছেন, তাদের মতো বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার রাজ্যের সুসমাচার প্রচারক “নিজেদেরকে স্বেচ্ছায় বিলিয়ে” দেওয়ার জন্য যিহোবার প্রতি প্রেমের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা এমন এলাকায় গিয়ে প্রচার করছেন, যেখানে রাজ্য ঘোষণাকারীদের বেশি প্রয়োজন। এই ধরনের ইচ্ছুক কর্মীরা নিশ্চিতভাবে যিহোবার হৃদয়কে আনন্দিত করছেন!—গীত. ১১০:৩; হিতো. ২৭:১১.
^ অনু. 9 উদাহরণ স্বরূপ, “আপনি কি যেখানে রাজ্য প্রকাশকদের বেশি প্রয়োজন সেখানে সেবা করতে পারেন?” এবং “আপনি কি পার হয়ে মাকিদনিয়াতে আসতে পারেন?” শিরোনামের প্রবন্ধগুলো দেখুন।—প্রহরীদুর্গ, এপ্রিল ১৫ এবং ডিসেম্বর ১৫, ২০০৯.