আপনি কি জানতেন?
কীভাবে শিষ্য স্তিফান তাড়নার সময়ে এত শান্ত থাকতে পেরেছিলেন?
স্তিফানকে একবার একদল বিদ্বেষপরায়ণ পুরুষের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ইস্রায়েলের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ মহাসভার সদস্য হিসেবে সেই ৭১ জন বিচারকর্তা ওই জাতির সবচেয়ে ক্ষমতাশালী লোকেদের মধ্যে ছিল। মহাযাজক কায়াফা তাদের একত্রিত করেছিলেন, যিনি কয়েক মাস আগেও আদালত পরিচালনা করেছিলেন, যখন যিশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। (মথি ২৬:৫৭, ৫৯; প্রেরিত ৬:৮-১২) তারা যখন তার সামনে একের-পর-এক মিথ্যা অভিযোগকারীদের নিয়ে আসছিল, তখন তারা স্তিফানের বিষয়ে এক আশ্চর্যজনক বিষয় লক্ষ করেছিল—তার মুখ “স্বর্গদূতের মুখের তুল্য” হয়ে গিয়েছিল।—প্রেরিত ৬:১৩-১৫.
কীভাবে স্তিফান সেই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে একেবারে শান্ত থাকতে পেরেছিলেন? স্তিফানকে মহাসভায় টেনে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার প্রভাবের অধীনে তার পরিচর্যার কাজে পুরোপুরিভাবে নিমজ্জিত ছিলেন। (প্রেরিত ৬:৩-৭) তার বিচারের সময়ে সেই একই আত্মা তার উপর কাজ করেছিল, সেটা তাকে সান্ত্বনা জুগিয়েছিল ও সেইসঙ্গে বিভিন্ন বিষয় স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল। (যোহন ১৪:১৬) স্তিফান যখন নির্ভীকভাবে নিজের পক্ষ সমর্থন করেছিলেন, যেটার বিবরণ প্রেরিত ৭ অধ্যায়ে পাওয়া যায়, তখন পবিত্র আত্মা তাকে ইব্রীয় শাস্ত্র থেকে প্রায় ২০টা অথবা তার চেয়েও বেশি বিবরণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল। (যোহন ১৪:২৬) কিন্তু, স্তিফানের বিশ্বাস সেইসময় আরও দৃঢ় হয়েছিল, যখন তিনি একটা দর্শনে যিশুকে ঈশ্বরের ডান দিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন।—প্রেরিত ৭:৫৪-৫৬, ৫৯, ৬০.
আমরাও হয়তো একদিন হুমকি ও তাড়নার মুখোমুখি হব। (যোহন ১৫:২০) আমরা ঈশ্বরের বাক্য থেকে নিয়মিতভাবে খাদ্য গ্রহণ করার এবং পরিচর্যায় সক্রিয় থাকার মাধ্যমে যিহোবার পবিত্র আত্মাকে আমাদের উপর কাজ করতে দিই। এর পাশাপাশি, আমরা নিজেদের মনের শান্তি বজায় রেখে বিরোধিতা সহ্য করার শক্তিও খুঁজে পাব।—১ পিতর ৪:১২-১৪.