সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

যিহোবার সাক্ষিরা বিবাহবিচ্ছেদকে কোন দৃষ্টিতে দেখে?

যিহোবার সাক্ষিরা বিবাহবিচ্ছেদকে কোন দৃষ্টিতে দেখে?

 বিয়ে এবং বিবাহবিচ্ছেদ সম্বন্ধে বাইবেল যা বলে, আমরা সেটাই মেনে চলি। ঈশ্বর বিয়ের ব্যবস্থা শুরু করেন, যেন স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন চিরস্থায়ী হয়। বিবাহবিচ্ছেদের একমাত্র শাস্ত্রীয় ভিত্তি হল যৌন অনৈতিকতা।—মথি ১৯:৫, ৬,.

বিয়ে ঝুঁকির মুখে রয়েছে এমন দম্পতিদের কি যিহোবার সাক্ষিরা সাহায্য করে?

 হ্যাঁ, বিভিন্ন উপায়ে আমরা তাদের সাহায্য করে থাকি:

  •   প্রকাশনা। আমাদের প্রকাশনাগুলোতে নিয়মিতভাবে এমন অনেক তথ্য দেওয়া হয়, যেগুলো একটা বিয়েকে দৃঢ় করতে পারে, এমনকী তখনও, যখন কারো মনে হয় যে, সেই সম্পর্ককে আর জোড়া লাগানো যাবে না। এইরকম কিছু প্রবন্ধ হল: “আপনার বিবাহে প্রতিশ্রুতি বজায় রাখা,” “যেভাবে ক্ষমা করা যায়” এবং “পুনরায় আস্থা গড়ে তোলা।”

  •   সভা। আমরা আমাদের মণ্ডলীর সভাগুলোতে এবং সীমা ও আঞ্চলিক সম্মেলনগুলোতে বিয়ের বিষয়ে বাইবেল যে-উপযুক্ত পরামর্শ দেয়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি।

  •   প্রাচীনেরা। মণ্ডলীর প্রাচীনেরা বিবাহিত দম্পতিদের সাহায্য করার জন্য সময় করে নেয় এবং তাদের বাইবেলের বিভিন্ন পরামর্শ, যেমন ইফিষীয় ৫:২২-২৫ পদের পরামর্শ কাজে লাগানোর জন্য উৎসাহিত করে।

একজন সাক্ষি বিবাহবিচ্ছেদ করতে চাইলে তাকে কী মণ্ডলীর প্রাচীনদের অনুমতি নিতে হবে?

 না। এমনকী যদি কোনো দম্পতি তাদের বিয়ের সমস্যা নিয়ে প্রাচীনদের সাহায্য নিয়েও থাকে, তবুও প্রাচীনদের এটা বলার অধিকার নেই যে, সেই দম্পতি কী সিদ্ধান্ত নেবে। (গালাতীয় ৬:৫) তবে, কেউ যদি শাস্ত্রীয় ভিত্তি ছাড়া বিবাহবিচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে সে শাস্ত্রীয় মান অনুসারে আবার বিয়ে করতে পারবে না।—১ তীমথিয় ৩:১, ৫, ১২.

স্বামী-স্ত্রীর আলাদা হওয়ার বিষয়টাকে সাক্ষিরা কোন দৃষ্টিতে দেখে?

 বাইবেল উৎসাহ দেয়, পরিস্থিতি সবসময় মনের মতো না হলেও বিবাহিত দম্পতিরা যেন একসঙ্গে থাকে। (১ করিন্থীয় ৭:১০-১৬) বিবাহিত জীবনের অনেক সমস্যাই আমরা সমাধান করতে পারি, যদি আমরা সেই বিষয়ে আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করি, বাইবেলের মানগুলো কাজে লাগাই এবং একে অপরের প্রতি প্রেম দেখাই।—১ করিন্থীয় ১৩:৪-৮; গালাতীয় ৫:২২.

 তবে, পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছোনোর কারণে কিছু খ্রিস্টান তাদের সাথির কাছ থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এইরকম কিছু পরিস্থিতি হল:

  •   ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবারের ভরণ-পোষণ না করা।—১ তীমথিয় ৫:৮.

  •   চরম শারীরিক অত্যাচার।—গীতসংহিতা ১১:৫.

  •   আধ্যাত্মিক জীবন যখন খুবই ঝুঁকির মুখে। যেমন, যখন একজন সাক্ষিকে তার সাথি ঈশ্বরের আজ্ঞা কোনো-না-কোনোভাবে অমান্য করার জন্য জোর করে, তখন সেই সাক্ষি আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, কারণ একমাত্র এভাবেই সে ‘মানুষের প্রতি নয়, বরং ঈশ্বরের প্রতিই বাধ্য’ হতে পারে।—প্রেরিত ৫:২৯.