সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

একটা হাত এই জগৎকে, এই পৃথিবী গ্রহটাকে ধরে রেখেছে

কে আসলে এই জগৎকে নিয়ন্ত্রণ করছে?

কে আসলে এই জগৎকে নিয়ন্ত্রণ করছে?

আপনি কী মনে করেন, সেই নিয়ন্ত্রণকারী হল . . .

  • ঈশ্বর?

  • মানুষ?

  • নাকি অন্য কেউ?

বাইবেল যা বলে

“সমস্ত জগৎ শয়তানের ক্ষমতার নীচে পড়ে আছে।”—১ যোহন ৫:১৯, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন।

“ঈশ্বরের পুত্র . . . প্রকাশিত হইলেন, যেন দিয়াবলের কার্য্য সকল লোপ করেন।”—১ যোহন ৩:৮, পবিত্র বাইবেল।

আপনার জন্য এর অর্থ যা হতে পারে

জগতের সমস্যাগুলোর পিছনে সুস্পষ্ট কারণ জানা।—প্রকাশিত বাক্য ১২:১২.

আমাদের জগতের অবস্থা যে পরিবর্তিত হয়ে আরও ভালো হবে, তা বিশ্বাস করার ভিত্তি।—১ যোহন ২:১৭.

শয়তান জগতের রাজনীতি, সামরিক বাহিনী, ধর্ম এবং লোকেদের নিয়ন্ত্রণ করছে

বাইবেল যা বলে, তা কি আমরা আসলেই বিশ্বাস করতে পারি?

বিশ্বাস করতে পারি আর তা অন্ততপক্ষে তিনটে কারণে:

  • শয়তানের শাসনের শেষ একেবারে নিশ্চিত। যিহোবা মানবজাতির ওপর থেকে শয়তানের নিয়ন্ত্রণ দূর করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। তিনি ‘দিয়াবলকে শক্তিহীন করিবার’ এবং শয়তান যে-সমস্ত ক্ষতিসাধন করেছে, সেইসমস্ত ক্ষতি দূর করার প্রতিজ্ঞা করেছেন।—ইব্রীয় ২:১৪.

  • ঈশ্বর এই জগৎকে শাসন করার জন্য যিশু খ্রিস্টকে মনোনীত করেছেন। এই জগৎ বর্তমানে যে-নিষ্ঠুর, স্বার্থপর শাসকের অধীনে রয়েছে, যিশু সেই শাসকের পুরোপুরি বিপরীত। যিশুর রাজত্বের বিষয়ে ঈশ্বর এই প্রতিজ্ঞা করেন: “অসহায় ও অভাবীদের তিনি দয়া করবেন . . . অত্যাচার ও আক্রমণের হাত থেকে তিনি তাদের প্রাণ রক্ষা করবেন।”—গীতসংহিতা ৭২:১৩, ১৪, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন।

  • ঈশ্বর মিথ্যা কথা বলতে পারেন না। বাইবেল স্পষ্টভাবে বলে: “মিথ্যাকথা বলা ঈশ্বরের অসাধ্য।” (ইব্রীয় ৬:১৮, পবিত্র বাইবেল) যিহোবা যখন কোনো কিছু করার প্রতিজ্ঞা করেন, তখন বলা যায় সেটা পরিপূর্ণ হয়েই গিয়েছে! (যিশাইয় ৫৫:১০, ১১) “এ জগতের অধিপতি বাহিরে নিক্ষিপ্ত হইবে।”যোহন ১২:৩১.

চিন্তা করার মতো বিষয়

একটা সুখী পরিবার বাইরে একসঙ্গে আনন্দপূর্ণ সময় কাটাচ্ছে

এই জগতের শাসককে দূর করে দেওয়ার পর জগৎ কেমন হবে?

বাইবেলে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১ এবং প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪ পদে।