Privacy Settings

To provide you with the best possible experience, we use cookies and similar technologies. Some cookies are necessary to make our website work and cannot be refused. You can accept or decline the use of additional cookies, which we use only to improve your experience. None of this data will ever be sold or used for marketing. To learn more, read the Global Policy on Use of Cookies and Similar Technologies. You can customize your settings at any time by going to Privacy Settings.

পরমদেশে পুনরুত্থিত ব্যক্তিদেরকে স্বাগতম জানানো হচ্ছে

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

খ্রিস্টানদের জন্য শবদাহ করা কি উপযুক্ত?

শাস্ত্রে শবদাহ করার ব্যাপারে মূলত কোনো আপত্তি জানানো হয়নি।

বাইবেলে এমন ঘটনাগুলোর বিষয়ে উল্লেখ করা আছে, যেখানে মৃত ব্যক্তিদের দেহ অথবা অস্থি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। (যিহো. ৭:২৫; ২ বংশা. ৩৪:৪, ৫) এটা হয়তো এই বিষয়টাকে নির্দেশ করতে পারে যে, এই ব্যক্তিদেরকে যথোপযুক্ত সমাধিলাভের যোগ্য বলে গণ্য করা হয়নি। কিন্তু, মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার অর্থ যে সবসময় এইরকম ছিল, তা নয়।

এই বিষয়টা আমরা রাজা শৌল এবং তার তিন ছেলের মৃত্যুর ঘটনা থেকে বুঝতে পারি। এই চার জন ব্যক্তি পলেষ্টীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা গিয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন যোনাথন, যিনি দায়ূদের একজন ভালো বন্ধু ও অনুগত সমর্থক ছিলেন। যাবেশ-গিলিয়দের সাহসী লোকেরা যখন কী ঘটেছে তা জানতে পেরেছিল, তখন তারা সেই চার জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুড়িয়ে ফেলেছিল এবং তাদের অস্থি মাটিতে পুঁতে রেখেছিল। পরবর্তী সময়ে, দায়ূদ সেই ইস্রায়েলীয়দেরকে তাদের কাজের জন্য প্রশংসা করেছিলেন।—১ শমূ. ৩১:২, ৮-১৩; ২ শমূ. ২:৪-৬.

মৃত ব্যক্তিদের জন্য শাস্ত্রীয় প্রত্যাশা হল পুনরুত্থান অর্থাৎ ঈশ্বর সেই ব্যক্তিকে জীবনে ফিরিয়ে আনবেন। একজন ব্যক্তির শবদাহ করা হোক বা না হোক, সেই ব্যক্তিকে এক নতুন দেহ দান করে জীবনে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে যিহোবার ক্ষমতা সীমিত নয়। রাজা নবূখদ্‌নিৎসর যে-তিন জন ইব্রীয় যুবককে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিলেন, তাদের এইরকম ভেবে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ ছিল না যে, তারা যদি আগুনে পুড়ে মারা যায়, তাহলে ঈশ্বর তাদেরকে আর পুনরুত্থিত করতে পারবেন না। (দানি. ৩:১৬-১৮) এই বিষয়টা যিহোবার সেই বিশ্বস্ত দাসদের ক্ষেত্রেও সত্য, যারা নাতসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পগুলোতে মারা যাওয়ার পর তাদের দেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। ঈশ্বরের অনেক অনুগত দাস বোমা বিস্ফোরণের কারণে অথবা এমন উপায়ে প্রাণ হারিয়েছে, যার ফলে তাদের মৃতদেহের কোনো চিহ্নই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও, তাদের পুনরুত্থান নিশ্চিত।—প্রকা. ২০:১৩.

একজন ব্যক্তিকে পুনরুত্থান করার জন্য যিহোবার সেই ব্যক্তির আগের দেহকে পুনরায় একত্রে যুক্ত করার প্রয়োজন নেই। ঈশ্বর যে অভিষিক্ত খ্রিস্টানদের স্বর্গীয় জীবনে পুনরুত্থান করেন, তা থেকে এই বিষয়টা বোঝা যায়। যিশু, যিনি “আত্মায় জীবিত হইলেন,” তাঁর মতো অভিষিক্ত খ্রিস্টানরাও আত্মিক দেহ নিয়ে পুনরুত্থিত হয় অর্থাৎ পৃথিবীতে থাকাকালীন তাদের যে-চিন্তাভাবনা, আবেগঅনুভূতি ও স্মৃতি ছিল, সেগুলো নিয়েই পুনরুত্থিত হয়। স্বর্গে তাদের পূর্বের মাংসিক দেহ আর থাকে না।—১ পিতর ৩:১৮; ১ করি. ১৫:৪২-৫৩; ১ যোহন ৩:২.

আমাদের পুনরুত্থানের আশা, আমাদের দেহ নিয়ে কী করা হবে, সেটার ওপর নির্ভর করে না। বরং সেই আশা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ করার ব্যাপারে তাঁর ক্ষমতা এবং তাঁর আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। (প্রেরিত ২৪:১৫) এটা ঠিক যে, ঈশ্বর অতীতে কীভাবে পুনরুত্থানের মতো অলৌকিক কাজ সম্পাদন করেছিলেন অথবা ভবিষ্যতে কীভাবে আবার তা করবেন, সেটা আমরা পুরোপুরি বুঝতে পারি না। তা সত্ত্বেও, আমরা যিহোবার ওপর আস্থা রাখি। তিনি যিশুকে পুনরুত্থিত করার মাধ্যমে এক “বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ” জুগিয়েছেন।—প্রেরিত ১৭:৩১; লূক ২৪:২, ৩.

মৃতদেহের সৎকার কীভাবে করা হবে, সেই ব্যাপারে খ্রিস্টানদের সামাজিক রীতিনীতি, স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং আইনি বাধ্যবাধকতা সম্বন্ধে বিবেচনা করা উচিত। (২ করি. ৬:৩, ৪) তাই, মৃত ব্যক্তির দেহ পুড়িয়ে ফেলা হবে কি হবে না, তা এক ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক সিদ্ধান্ত।