বিশ্ব নিরীক্ষা
বিশ্ব নিরীক্ষা
◼ ২০০৫ সালে, সারা বিশ্বে পূর্ণমাত্রার ২৮টা যুদ্ধ এবং অন্যান্য ১১টা সংঘর্ষ হয়েছে।—অতীব গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নগুলো ২০০৬-২০০৭, ওয়ার্ল্ডওয়াচ ইনস্টিটিউট।
◼ ১২ থেকে ২০ বছর বয়সি ডাচ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা, যারা ওয়েবক্যাম ব্যবহার করার সময় তথাকথিত “ব্লগ সাইটগুলো” ঘাঁটাঘাঁটি করে, তাদের মধ্যে “শতকরা ৪০ জন ছেলে এবং শতকরা ৫৭ জন মেয়ে রিপোর্ট করেছিল যে, তাদেরকে কাপড় খুলতে বা ওয়েবক্যামের সামনে কোনো ধরনের যৌনক্রিয়া করতে বলা হয়েছিল।”—রাটগার্জ নিসো গ্রোয়েপ, নেদারল্যান্ডস। (g ৪/০৭)
◼ “যদিও প্রযুক্তিবিদ্যা যুক্তরাষ্ট্রের গড় কাজের সপ্তাহ, একশো বছরে শতকরা ৩৮ ভাগ কমিয়ে দিয়েছে, কিন্তু কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করার পিছনে দীর্ঘ সময় চলে যাওয়ায়, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অধিক শিক্ষার ব্যবস্থা থাকায় এবং ঘরের কাজকর্ম বেড়ে যাওয়ায় কোনো অবসর সময়ই থাকে না।”—ফোরবস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। (g ৫/০৭)
◼ ইন্টারনেটে বিজ্ঞানী স্টিভেন হকিং জনসাধারণের উদ্দেশে এই প্রশ্নটা রেখেছিলেন: “রাজনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে বিশৃঙ্খল এমন এক জগতে মানবজাতি কীভাবে আরও ১০০ বছর বেঁচে থাকবে?” এক মাস পর তিনি স্বীকার করেছিলেন: “আমি উত্তরটা জানি না। প্রশ্নটা আমি এইজন্যই করেছিলাম, যাতে লোকেরা এটা নিয়ে চিন্তা করে এবং আমরা এখন যে-বিপদগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি, সেগুলোর বিষয়ে সচেতন থাকে।”—দ্যা গার্ডিয়ান, ব্রিটেন। (g ৬/০৭)
মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য চাষবাস করা হল স্বাস্থ্যকর
সম্প্রতি, ১৪টা দেশ থেকে আসা ১০০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ, নরওয়ের স্ট্যাভেঞ্জারে গ্রিন কেয়ার সম্বন্ধে শেখার জন্য একত্রিত হয়েছিল। গ্রিন কেয়ার হচ্ছে চাষবাস, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সম্বন্ধীয় সম্মিলিত এক ধারণা। এনআরকে (নরওয়েজিয়ান ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কোম্পানি) অনুযায়ী, যে-ব্যক্তিরা বহু বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ রয়েছে তারা যখন চাষবাস করা শুরু করে, তখন তাদের মানসিক হাসপাতালে রাখার আর প্রয়োজন হয় না। এই কাজ “মন ও দেহের জন্য স্বাস্থ্যকর।” নরওয়েতে ৬০০-রও বেশি সাধারণ চাষের জমির চাষীরা গ্রিন কেয়ার এর সঙ্গে সহযোগিতা করে বলে তারা বাড়তি টাকা আয় করে। (g ৪/০৭)
চিনে জলসংকট
চিনে “জল দূষণ ও বিশুদ্ধ জলের ঘাটতি” চরম আকার ধারণ করেছে। অধিকাংশ শহরে, ব্যবহৃত জল বিশোধনাগার রয়েছে কিন্তু এগুলোকে চালানোর মতো টাকাপয়সা অনেক শহরেরই নেই। “দেশের অধিকাংশ নদী, হ্রদ ও খাল, কলকারখানা এবং ঘরবাড়ির অপ্রক্রিয়াজাত বর্জিত জল আর সেইসঙ্গে খেতখামারের কীটনাশক পদার্থে পূর্ণ জলপ্রবাহ দ্বারা দূষিত হয়,” দ্যা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট করে। অধিকন্তু, “প্রায় ৩০ কোটি লোক বিশুদ্ধ পানীয় জল পায় না।” পরিস্থিতি “অন্ধকারময়,” সেই জার্নাল বলে আর দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটে চলেছে। (g ৫/০৭)
“আপনারা কারা? যিহোবার সাক্ষি?”
গত বছর ইতালীয় দ্বীপ এলবার সৈকতগুলোতে পর্যটকদের সঙ্গে কিছু অল্পবয়সি ক্যাথলিক সাক্ষাৎ করেছিল যারা মাসসা মারিততিমা পিয়মবিনোর এলাকার বিশপের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিল। তিনি সেই ক্যাথলিকদের বলেছিলেন যে, তারা যদি খ্রিস্টান হতে চায় এবং খ্রিস্টান হিসেবে থাকতে চায়, তা হলে নিজেদের বিশ্বাস সম্বন্ধে তাদের লোকেদের কাছে বলা উচিত। এই কথাগুলো পর্যটকদের অবাক করেছিল। ইল টেমপো খবরের কাগজ অনুযায়ী, এই অল্পবয়সিদের অধিকাংশই এভাবে সাড়া পেয়েছিল, “আপনারা কারা? যিহোবার সাক্ষি?” (g ৫/০৭)
যৌনক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সংগীত
যে-কিশোর-কিশোরীরা “যৌন সংক্রান্ত নোংরা কথাবার্তা” রয়েছে এমন সংগীত শুনে থাকে, তারা সম্ভবত “যে-কিশোর-কিশোরীরা অন্য গান শুনতে পছন্দ করে তাদের তুলনায় আরও তাড়াতাড়ি যৌনক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে,” এসোসিয়েটেড প্রেস এর দ্বারা প্রণীত একটা গবেষণা বলে। “যেসমস্ত গান পুরুষদের ‘যৌনবীর’ ও মহিলাদের যৌন সম্ভোগের পাত্র হিসেবে বর্ণনা করে এবং খোলামেলাভাবে যৌনক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে সেগুলো খুব সম্ভবত, সেই গানগুলোর চেয়ে বয়স হওয়ার আগেই যৌন আচরণ করার জন্য প্ররোচণা দেয়, যে-গানগুলোতে যৌনতার বিষয় পরোক্ষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং যেগুলোতে সম্পর্কগুলো আরও স্থায়ী বলে মনে হয়,” সেই গবেষণা বলে। এই গবেষণা লক্ষ করেছে যে, “বাবামাদের, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ও স্বয়ং কিশোর-কিশোরীদের গানের কথাগুলোতে উপস্থাপিত বার্তার বিষয়ে আরও সতর্কতার সঙ্গে চিন্তা করতে হবে।” (g ৫/০৭)