আপনি কি ‘সূক্ষ্ম বুদ্ধি রক্ষা’ করছেন?
এইরকম একটা গল্প প্রচলিত রয়েছে: অনেক দূরের একটা গ্রামে এক দরিদ্র ছেলে ছিল। তাকে বোকা মনে করে শহর থেকে আসা লোকেরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করত। গ্রামে যখন অতিথি আসত, তখন গ্রামবাসীদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের অতিথিদের সামনে তাকে নিয়ে মজা করত। তারা তার সামনে দুটো মুদ্রা ধরত, একটা বড়ো রুপোর মুদ্রা আর একটা ছোটো সোনার মুদ্রা, যেটার মূল্য সেই রুপোর মুদ্রার দ্বিগুণ। “তোমার ইচ্ছামতো একটা বেছে নাও,” তারা তাকে বলত। ছেলেটি তখন রুপোর মুদ্রা নিয়ে দৌড়ে পালাত।
একদিন, এক অতিথি সেই ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “তুমি কি জান না, সোনার মুদ্রাটার মূল্য রুপোর মুদ্রাটার দ্বিগুণ?” তখন সেই ছেলে হেসে বলেছিল, “আমি তা জানি।” “তা হলে, কেন তুমি রুপোর মুদ্রা নাও?” অতিথি জিজ্ঞেস করেছিলেন। “তুমি যদি সোনার মুদ্রাটা নাও, তা হলে তো তুমি দ্বিগুণ মূল্য পাবে!” ছেলেটি তখন বলেছিল, “কিন্তু আমি যদি সোনার মুদ্রা নিই, তা হলে তো লোকেরা আর আমার সঙ্গে মজা করবে না। আপনি কি জানেন, আমি কয়টা রুপোর মুদ্রা জমিয়েছি?” এই গল্পের ছোটো ছেলেটি এমন এক গুণ প্রদর্শন করেছে, যা বড়োদের জন্যও উপকারী আর তা হল, ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা।
বাইবেল বলে: “তুমি সূক্ষ্ম বুদ্ধি ও পরিণামদর্শিতা রক্ষা কর। তখন তুমি নিজ পথে নির্ভয়ে গমন করিবে, তোমার পায়ে উছোট লাগিবে না।” (হিতো. ৩:২১, ২৩) তাই, “সূক্ষ্ম বুদ্ধি” বা ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা বলতে কী বোঝায় এবং কীভাবে তা প্রয়োগ করা যায়, তা জানার সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা জড়িত। এটা আমাদের আধ্যাত্মিকভাবে উছোট খাওয়া এড়াতে ও আমাদের ‘পা’ স্থির রাখতে সাহায্য করে।
ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা বলতে কী বোঝায়?
ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও বোধগম্যতা থেকে আলাদা। যে-ব্যক্তির জ্ঞান রয়েছে, তিনি তথ্য সংগ্রহ করেন বা বিভিন্ন ঘটনা সম্বন্ধে জানেন। যার বোধগম্যতা রয়েছে, তিনি একটা ঘটনা কীভাবে আরেকটা ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সেটা বুঝতে পারেন। আর যে-ব্যক্তির প্রজ্ঞা রয়েছে, তিনি তার জ্ঞান ও বোধগম্যতা একসঙ্গে ব্যবহার করে কোনো ব্যাবহারিক উপায়ে তা প্রকাশ করতে পারেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন ব্যক্তি হয়তো অন্যদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের বিষয়বস্তু পড়তে ও বুঝতে পারেন। বাইবেল অধ্যয়নের সময় তিনি হয়তো সঠিকভাবে উত্তর দেন। তিনি হয়তো মণ্ডলীর সভাতে আসতে শুরু করেন আর এমনকী সভাতে ভালো ভালো মন্তব্য করেন। এই বিষয়গুলো হয়তো ইঙ্গিত দিতে পারে, তিনি আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করছেন। কিন্তু তার অর্থ কি এই যে, তিনি প্রজ্ঞা অর্জন করেছেন? তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। হতে পারে, তার দ্রুত শেখার ক্ষমতা রয়েছে। তবে, সেই ব্যক্তি যখন তার জ্ঞান ও বোধগম্যতা ব্যবহার করে সত্যকে কাজে লাগান, তখন তিনি বিজ্ঞ হয়ে ওঠেন। তার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত যদি সঠিক হয় আর যদি বোঝা যায়, সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার আগে সতর্কতার সঙ্গে চিন্তা করা হয়েছে, তা হলে এটা স্পষ্ট হয়, তিনি ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা দেখিয়েছেন।
মথি ৭:২৪-২৭ পদে যিশুর একটা দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে। এই দৃষ্টান্তে দু-জন ব্যক্তি একটা করে বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। সেই দু-জন ব্যক্তির মধ্যে একজনকে “বুদ্ধিমান” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কী ঘটতে পারে, সেই বিষয়ে আগে থেকে চিন্তা করে তিনি পাথরের উপর নিজের বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। তিনি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন ও ব্যাবহারিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি এমন যুক্তি করেননি, বালির উপর বাড়ি নির্মাণ করা সাশ্রয়ী হবে অথবা তা নির্মাণ করতে কম সময় লাগবে। তিনি বিজ্ঞতা দেখিয়ে তার কাজের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল নিয়ে চিন্তা করেছিলেন। তাই যখন ঝড় এসেছিল, তখন তার বাড়ি নিরাপদ ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ গুণ অর্থাৎ ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা অর্জন করতে ও তা রক্ষা করতে পারি?
কীভাবে আমি ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা অর্জন করতে পারি?
প্রথমত, লক্ষ করুন মীখা ৬:৯ পদ বলে: “প্রজ্ঞাবান্ তোমার নামের প্রতি দৃষ্টিপাত [“নামকে সম্মান,” ইজি-টু-রিড ভারশন] করিবে।” এর অর্থ হচ্ছে তাঁর নাম যে-বিষয়গুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে, সেগুলোর প্রতি গভীর সম্মান থাকা আর এর সঙ্গে তাঁর মানদণ্ডও জড়িত। কাউকে সম্মান করার জন্য, তিনি কীভাবে চিন্তা করেন, তা আপনাকে জানতে হবে। তা হলে, আপনি তার উপর নির্ভর করতে পারবেন ও তার কাছ থেকে শিখতে পারবেন এবং তাকে অনুকরণ করে সফল হতে পারবেন। আমাদের কাজের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল যিহোবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে যদি আমরা চিন্তা করি এবং তাঁর মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিই, তা হলে আমরা দেখাই, আমরা ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা অর্জন করছি।
দ্বিতীয়ত, হিতোপদেশ ১৮:১ পদ বলে: “যে পৃথক্ হয় সে নিজ অভীষ্ট চেষ্টা করে, এবং সমস্ত বুদ্ধিকৌশলের” বা ব্যাবহারিক প্রজ্ঞার “বিরুদ্ধে উচ্চণ্ড হয়।” আমরা যদি সতর্ক না থাকি, তা হলে আমরা নিজেদেরকে যিহোবা ও তাঁর লোকেদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারি। পৃথক হওয়ার মনোভাব এড়িয়ে চলার জন্য আমাদের সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে, যারা ঈশ্বরের নাম ও তাঁর মানদণ্ডের প্রতি সম্মান দেখায়। আমাদের নিয়মিতভাবে খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর সঙ্গে মেলামেশা করার জন্য যতদূর সম্ভব কিংডম হলে উপস্থিত থাকতে হবে। সভাতে থাকার সময় নিজেদের হৃদয় ও মন খোলা রাখতে হবে, যেন যা বলা হচ্ছে সেগুলো আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে।
এ ছাড়া, আমরা যদি যিহোবার কাছে হৃদয় উজাড় করে প্রার্থনা করি, তা হলে আমরা তাঁর আরও নিকটবর্তী হব। (হিতো. ৩:৫, ৬) বাইবেল ও যিহোবার সংগঠনের দ্বারা প্রস্তুতকৃত সাহিত্যাদি পড়ার সময় আমরা যদি নিজেদের হৃদয় ও মনকে খুলে দিই, তা হলে আমরা আমাদের কাজের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল আগে থেকে অনুমান করতে পারব এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারব। আর পরিপক্ব ভাইদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ গ্রহণের জন্যও আমাদের হৃদয় খুলে দিতে হবে। (হিতো. ১৯:২০) তা হলে, আমরা “সমস্ত বুদ্ধিকৌশলের” বা ব্যাবহারিক প্রজ্ঞার “বিরুদ্ধে উচ্চণ্ড” না হয়ে বরং আরও বেশি করে এই গুরুত্বপূর্ণ গুণ গড়ে তুলব।
কীভাবে ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা আমার পরিবারকে সাহায্য করবে?
ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা পরিবারগুলোর সুরক্ষা করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, বাইবেল পরামর্শ দেয়, স্বামীর প্রতি একজন স্ত্রীর যেন “ভয় [“সম্মান,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন]” থাকে। (ইফি. ৫:৩৩) কীভাবে একজন স্বামী গভীর সম্মান অর্জন করতে পারেন? তিনি যদি জোর করে বা রূঢ়ভাবে সম্মান আদায় করার চেষ্টা করেন, তা হলে তিনি হয়তো ক্ষণস্থায়ী ফলাফল লাভ করবেন। বিবাদ এড়ানোর জন্য স্ত্রী হয়তো স্বামীর উপস্থিতিতে তাকে কিছুটা সম্মান দেখাতে পারেন। কিন্তু, স্বামীর অনুপস্থিতিতে কি সেই স্ত্রী তার প্রতি সম্মান দেখাবেন? খুব সম্ভবত না। তাই কোন বিষয়টা দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল নিয়ে আসবে, তা স্বামীকে বিবেচনা করতে হবে। তিনি যদি প্রেমময় ও সদয় হওয়ার মাধ্যমে আত্মার ফল প্রকাশ করেন, তা হলে তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে গভীর সম্মান অর্জন করবেন। অবশ্য, একজন খ্রিস্টান স্ত্রীর তার স্বামীকে সম্মান করা উচিত, তা স্বামী সেটা অর্জন করুক বা না করুক।—গালা. ৫:২২, ২৩.
এ ছাড়া, বাইবেল এটাও বলে, একজন স্বামীর তার স্ত্রীকে ভালোবাসা উচিত। (ইফি. ৫:২৮, ৩৩) একজন স্ত্রী নিজের প্রতি স্বামীর ভালোবাসা অটুট রাখার প্রচেষ্টায় হয়তো এভাবে যুক্তি করতে পারেন, স্বামীর কাছে অপ্রীতিকর বিষয়গুলো গোপন রাখা আরও ভালো হবে, যদিও সেগুলো জানার অধিকার স্বামীর রয়েছে। কিন্তু, এতে আসলেই কি ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা প্রকাশ পাবে? পরে স্বামী যখন সেই গোপন বিষয়টা জানতে পারবেন, তখন সেটার ফল কী হবে? সেই স্বামী কি তার স্ত্রীকে আরও বেশি ভালোবাসবেন? সেটা করা তার পক্ষে কঠিন হতে পারে। এর পরিবর্তে, স্ত্রী যদি উপযুক্ত সময় বের করে শান্তভাবে সেই অপ্রীতিকর বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেন, তা হলে তার স্বামী সম্ভবত স্ত্রীর সততা সম্বন্ধে বুঝতে পারবেন। তখন স্ত্রীর প্রতি তার ভালোবাসা আরও বৃদ্ধি পাবে।
সন্তানদের তাদের বাবা-মায়ের বাধ্য হওয়া উচিত এবং যিহোবার উপায়ে শাসন লাভ করা উচিত। (ইফি. ৬:১, ৪) তার মানে কি এই যে, বাবা-মাকে তাদের সন্তানের জন্য কোনটা করা যাবে ও কোনটা করা যাবে না, সেই বিষয়ে একটা দীর্ঘ তালিকা প্রস্তুত করতে হবে? সন্তানের জন্য শুধু ঘরের নিয়মকানুন অথবা অশোভন আচরণের শাস্তি কী হবে, তা জানার চেয়ে আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা রয়েছে এমন একজন বাবা অথবা মা তার সন্তানকে বুঝতে সাহায্য করেন, কেন তাকে বাধ্য হতে হবে।
উদাহরণ স্বরূপ, মনে করুন একজন সন্তান তার বাবা অথবা মাকে অসম্মান করে কথা বলেছে। তখন সন্তানকে বকাঝকা করলে বা রাগের বশে শাস্তি দিলে সে হয়তো বিব্রতবোধ করতে পারে অথবা চুপ করে থাকতে পারে। কিন্তু, মনে মনে সে হয়তো ক্ষুব্ধ হতে পারে, যা তাকে বাবা-মায়ের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারে।
ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা গড়ে তুলছেন এমন বাবা-মায়েরা, তাদের শাসন করার উপায় ও তা ভবিষ্যতে সন্তানের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করেন। বিব্রতবোধ করার কারণে বাবা-মায়েদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়। তারা হয়তো সন্তানের সঙ্গে একান্তে শান্তভাবে ও প্রেমের সঙ্গে যুক্তি করতে পারেন, তাকে ব্যাখ্যা করতে পারেন, যিহোবা চান যেন সন্তান তার চিরস্থায়ী মঙ্গলের জন্য বাবা-মাকে সম্মান করে। পরে সন্তান যখন তার আচরণের মাধ্যমে বাবা-মায়ের প্রতি সম্মান দেখাবে, তখন সে বুঝতে পারবে, সে আসলে যিহোবার প্রতি সম্মান দেখাচ্ছে। (ইফি. ৬:২, ৩) এভাবে শাসন করা হলে, তা সন্তানের হৃদয় স্পর্শ করতে পারে। সে তার প্রতি বাবা-মায়ের আন্তরিক যত্ন সম্বন্ধে উপলব্ধি করতে পারে এবং তাদের প্রতি তার সম্মান বৃদ্ধি পায়। এর ফলে, সন্তানের জন্য একটা পথ তৈরি হয়, যাতে পরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপিত হলে সে সাহায্যের জন্য বাবা-মায়ের কাছে আসতে পারে।
কোনো কোনো বাবা-মা হয়তো শিশুমনে আঘাত দিয়ে ফেলার ভয়ে সন্তানকে সংশোধন করা এড়িয়ে চলেন। কিন্তু, সন্তান যখন বড়ো হবে, তখন কী হবে? সে কি যিহোবাকে ভয় করবে এবং ঈশ্বরের মানদণ্ড মেনে চলার প্রজ্ঞা সম্বন্ধে বুঝতে পারবে? সে কি যিহোবার কাছে নিজের হৃদয় ও মন খুলে দেবে, না কি আধ্যাত্মিকভাবে নিজেকে পৃথক করে ফেলবে?—হিতো. ১৩:১; ২৯:২১.
একজন দক্ষ ভাস্কর কোনো ভাস্কর্য তৈরি করার সময় আগে থেকে পরিকল্পনা করেন। তিনি শুধু কোনোরকম খোদাই করে সেটা ভালোই হবে এমনটা আশা করেন না। ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা রয়েছে এমন বাবা-মায়েরা যিহোবার মানদণ্ড সম্বন্ধে জানার ও তা কাজে লাগানোর জন্য অনেক সময় ব্যয় করেন আর এভাবে তাঁর নামের প্রতি সম্মান দেখান। যিহোবা ও তাঁর সংগঠন থেকে নিজেদের পৃথক না করার মাধ্যমে তারা ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা অর্জন করেন ও তাদের পরিবারকে গড়ে তোলার জন্য তা ব্যবহার করেন।
প্রতিনিয়ত আমরা এমন সব সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হই, যে--সিদ্ধান্তগুলো আমাদের আগামী দিনগুলোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার পরিবর্তে, একটু থেমে তা নিয়ে চিন্তা করুন না কেন? সেই সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল সম্বন্ধে সতর্কতার সঙ্গে চিন্তা করুন। যিহোবার নির্দেশনা অনুসন্ধান করুন ও তাঁর কাছ থেকে পাওয়া প্রজ্ঞা কাজে লাগান। তা হলে, আমরা ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা রক্ষা করতে পারব আর তা আমাদের জীবন স্বরূপ হবে।—হিতো. ৩:২১, ২২.